ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নিয়োগ মামলায় ফের জামিন। ইডি-র (ED) মামলার পর এবার সিবিআইয়ের (CBI) গ্রেফতারি থেকেও জামিন পেলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh Bail)। এই জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কুন্তলকে। সেই সময় তিনি ছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা। পরে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে।
কোন শর্তে জামিন? (Kuntal Ghosh Bail)
কুন্তলকে (Kuntal Ghosh Bail) অবশ্য জামিন দিলেও কিছু আদালত কিছু শর্ত আরোপ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী প্রথমত, এই মামলাটি বিচারাধীন থাকার সময় কোনও সরকারি পদে থাকতে পারবেন না কুন্তল। দ্বিতীয়ত, ট্রায়াল কোর্টের অনুমতি ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কুন্তলকে। তৃতীয়ত, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
কি ভাবে হল জামিন? (Kuntal Ghosh Bail)
শুক্রবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্বল ভুঁইয়ার এজলাসে জামিন মামলার শুনানি ছিল কুন্তলের। এদিন দীর্ঘদিন ধরে জেলে থাকা সত্ত্বেও কেন ট্রায়াল শুরু হচ্ছে না! এই যুক্তিকেই আরও একবার হাতিয়ার করা হয় জামিন মামলায়। কুন্তলের (Kuntal Ghosh Bail) পক্ষে আইনজীবী সওয়াল করেছেন, তদন্ত কবে শেষ হবে, তার কোনও নির্দিষ্ট রূপরেখাও পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) শর্ত সাপেক্ষে জামিনের নির্দেশ দেয় কুন্তল ঘোষকে।
আরও পড়ুন: Humayun Kabir: বেফাঁস মন্তব্যের জের! হুমায়ুন কবীরকে শোকজ তৃণমূলের, জবাব দিতে হবে ৩ দিনের মধ্যে
জামিনের বিরোধিতা সিবিআইয়ের
এদিকে কুন্তলদের Kuntal Ghosh Bail) জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে সিবিআইয়ের (CBI) যুক্তি ছিল, মামলার তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ছাড়া পেলে প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কা থাকবে বলে দাবি করেছিলেন সিবিআই আইনজীবী। তবে শর্ত সাপেক্ষে কুন্তলকে জামিন দেয় শীর্ষ আদালত। এর আগে চলতি মাসেই শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জামিন পেয়েছিলেন বহিষ্কৃত এই যুব তৃণমূল নেতা। ইডির পরে এবার সিবিআই মামলাতেও জামিন পাওয়ায় জেল থেকে ছাড়া পেতে চলেছেন কুন্তল।
কুন্তলের গ্রেফতারির বর্ণনা
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর ২টি ফ্ল্যাটে দিনভর তল্লাশির পর গ্রেফতার হয়েছিল কুন্তল। এর পর নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় কুন্তলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই আবহে বিগত প্রায় ২৩ মাস ধরে জেলে রয়েছেন বহিষ্কৃত এই যুব তৃণমূল নেতা। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার করেছিল ইডি।
আরও পড়ুন: TMC: তৃণমূলে কি প্রবীণদের পাল্লা ভারী? জিইয়ে থাকছে ‘নবীন-প্রবীণ’ দ্বন্দ্ব?
অভিযোগ ছিল চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতেন কুন্তল। এদিকে নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল তদন্তকারীদের কাছে নাকি দাবি করেছিলেন, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে তিন কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। সব মিলিয়ে কুন্তল মোট ১৯ কোটি টাকা তুলেছিলেন বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা।