ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : উত্তরাখণ্ডের পর এবার রাজস্থান (Rajasthan)। বাধ্যতামূলক করা হল লিভ ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন। উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হওয়ার পরেই লিভ ইন সম্পর্কে (Live In Relation) রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম জারি হয়েছে। এবার এই একই নির্দেশ দিল রাজস্থান হাইকোর্টও। লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট চুক্তিপত্রের ব্যবস্থা করবে সরকার। সরকারি পোর্টালেও একত্রবাস নথিবদ্ধ করা হবে। বুধবার একটি মামলায় এমনই রায় দিল রাজস্থান হাই কোর্ট।
লিভ-ইন সম্পর্কের রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল তৈরির নির্দেশ (Live In Relation)
লিভ ইন সম্পর্কে থাকা যুগলদের একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল রাজস্থান হাইকোর্টে। পরিবারের সম্মতি না থাকায় তারা আদালতের কাছ থেকে সুরক্ষার আর্জি জানিয়েছিলেন। বিচারপতি অনুপ কুমার ধান্দের সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনও আইন চালু না হচ্ছে, লিভ ইন (Live In Relation) সম্পর্কে থাকা যুগলদের কর্তৃপক্ষের অধীনে রেজিস্টার হতে হবে। এ বিষয়ে কী শর্ত থাকবে লিভ ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাও পরিষ্কার জানিয়েছে হাইকোর্ট।রাজস্থান হাইকোর্টের তরফে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একটি সরকারি পোর্টাল খোলার জন্য, যেখানে লিভ ইন সম্পর্কে থাকা পুরুষ-মহিলারা নিজেদের তথ্য জানিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন।
লিভ-ইন সম্পর্কে চুক্তিপত্র বাধ্যতামূলক (Live In Relation)
উত্তরাখণ্ডের পথে হেঁটে এবার রাজস্থান হাইকোর্ট লিভ-ইন সম্পর্কের (Live In Relation) জন্য চুক্তি বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছে। যুগল একত্রবাসে থাকাকালীন কোনও পরিবার পরিকল্পনা করছেন কি না, সন্তানের জন্ম দিলে তার শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে কী কী ভাবনা রয়েছে, তা চুক্তিপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে। একত্রবাসে থাকা তরুণী রোজগেরে না-হলে, তাঁর রোজগেরে সঙ্গীর কী কী দায়দায়িত্ব থাকবে এবং সন্তানের জন্ম হলে, তার প্রতিই বা কী দায়িত্ব থাকবে, সে কথাও চুক্তিপত্রে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন : বাতিল ভিভিআইপি পাস, গাড়ি প্রবেশে কড়াকড়ি, নিয়মে বড় রদবদল মহাকুম্ভে
লিভ-ইনে সমস্যায় পড়লে অভিযোগ শুনবে কর্তৃপক্ষ
আদালত জানিয়েছে, সরকারের তরফে লিভ ইন সম্পর্ক নিয়ে কোনও আইন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি জেলায় একত্রবাসের বিষয়টি দেখার জন্য নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে থাকতে হবে। জেলাস্তরের ওই কর্তৃপক্ষ একত্রবাসে থাকা সম্পর্কগুলিকে নথিভুক্ত করবেন। যুগল যদি পরবর্তীকালে কোনও সমস্যায় পড়েন তাহলে ওই কর্তৃপক্ষই যুগলের অভিযোগ শুনবেন এবং প্রয়োজনীয় সমাধানের ব্যবস্থাও করবেন। একত্রবাসে থাকা যুগলের অভিযোগ শোনা এবং তার সমাধানের জন্য একটি ওয়েবসাইট বা পোর্টাল তৈরিরও প্রস্তাব দিয়েছে রাজস্থান হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন : বাতিল ভিভিআইপি পাস, গাড়ি প্রবেশে কড়াকড়ি, নিয়মে বড় রদবদল মহাকুম্ভে
আদালত নির্দেশনামায় জানিয়েছে, সমাজ এখনও লিভ ইন সম্পর্ককে অনুমোদন দেয় না। হিন্দু বিবাহ আইনে লিভ ইন কোনও ধারণার উল্লেখ নেই। মুসলিম আইনেও এ ধরনের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তবে নির্দেশামায় বিচারপতি লিখেছেন, এ ধরনের সম্পর্ক বেআইনি নয় বলে অতীতে বিভিন্ন মামলায় জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এটি পুরোটাই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।