Last Updated on [modified_date_only] by
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০২৫ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা(Madhyamik 2025) হতে চলেছে আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারি থেকে। অর্থাৎ হাতে নেই আর এক মাসও। এমন অবস্থায় পরীক্ষা শুরুর একমাস আগেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়ে দিল, মাধ্যমিক চলাকালীন ছুটি পাবেন না শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। ছুটির আবেদন করতে গেলে রয়েছে কিছু শর্ত। শর্ত পূরণ হলে তবেই মঞ্জুর হবে ছুটি। নাহলে কোনোভাবেই ছুটি দেওয়া হবে না কাউকেই।
কবে থেকে মাধ্যমিক? (Madhyamik 2025)
চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা(Madhyamik 2025) শুরু হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন প্রথম ভাষার পরীক্ষা হবে। এর পর ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ভাষা, ১৫ ফেব্রুয়ারি অঙ্ক, ১৭ তারিখ ইতিহাস, ১৮ তারিখ ভূগোল, ১৯ তারিখ জীবন বিজ্ঞান, ২০ তারিখ পদার্থ বিজ্ঞান এবং ২২ তারিখ ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা। মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড বিতরণ করা হবে ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়? (Madhyamik 2025)
বুধবার নির্দেশিকা জারি করেছে পর্ষদ। তাতে বলা হয়েছে, যে স্কুলগুলিকে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে বাছাই করা হয়েছে, সেই স্কুলগুলির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা উপযুক্ত কারণ ছাড়া ছুটি পাবেন না। পরীক্ষা(Madhyamik 2025) শুরুর অন্তত তিন সপ্তাহ আগে ছুটির আবেদন করতে হবে সেই শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীকে।
আরও পড়ুন:Cooch Behar Incident: কোচবিহারে জোড়া খুন পুরনো শত্রুতায়? চাঞ্চল্য ভেটাগুড়ি এলাকায়
ছুটির জন্য কী কী শর্ত?
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সন্তান মাধ্যমিক(Madhyamik 2025) কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হলে ছুটি পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে, সন্তানের পরীক্ষার রুটিন, অ্যাডমিট কার্ড-সহ যাবতীয় নথি প্রমাণ হিসাবে জমা দিতে হবে। মা এবং বাবার মধ্যে দু’জনেই যদি শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী হন, তা হলে ছুটি নিতে পারবেন কেবল এক জন। আরও জানানো হয় হবে। সন্তান মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, এমন কোনও শিক্ষক যদি ছুটি না নেন, তা হলে তাঁকে প্রশ্নপত্র খোলা, বিতরণ করা কিংবা পরীক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না তাঁকে।
আরও পড়ুন:Abhishek Banerjee: বয়কটে ফের ‘না’ অভিষেকের, কুণালকে কটাক্ষ?
কী বলছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক?
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানান, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে মূলত সন্তান প্রতিপালনের ছুটির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হন, সে ক্ষেত্রে কী হবে? তাঁদের ব্যাপারে স্পষ্ট করে নির্দেশ দিলে ভাল হয়। আমরাও অহেতুক ছুটি নেওয়ার বিরোধী তবে এই নির্দেশকে হাতিয়ার করে অনেক প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা দমনপীড়ন চালাতে পারেন।“