ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এক যুবক রোজ বিরক্ত করতেন মেয়েকে। প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয়নি। অগত্যা মেয়েকে অন্য স্কুলে ভর্তি করান বাবা। সেই আক্রোশেই বাবার উপর হামলা যুবকের(Murder Case in Murshidabad)। অবশেষে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
কে এই মৃত ব্যক্তি? (Murder Case in Murshidabad)
মৃত ব্যক্তির নাম সফিউল আলাম। তাঁর বয়স ৫২। তিনি পেশায় ছিলেন একজন শিক্ষক। জানা যায়, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে মেয়েকে প্রায়ই বিরক্ত করতেন এলাকারই এক যুবক (Murder Case in Murshidabad)। সেটা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিলেন শিক্ষক পিতা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি সেরকম। তারপরেও রাস্তা ঘাটে মেয়ের পিছু নিতো ওই যুবক। তাই মেয়েকে অন্য স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন তিনি। সেই ক্ষোভে ছাত্রীর বাবার উপরে হামলার করে সেই যুবক(Murder Case in Murshidabad)। সফিউলকে ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেছেন ওই যুবক।
আরও পড়ুন:Kolkata Flat Collapse: শহরে ফের বাড়ি বিপর্যয়, হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বহুতলের একাংশ
কোথায় ঘটে এই ঘটনাটি? (Murder Case in Murshidabad)
ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে। শমসেরগঞ্জের রতনপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন সফিউল। তাঁর মেয়ে স্কুলছাত্রী। অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার যুবক আহাদ শেখ ছাত্রীকে বিরক্ত এবং উত্ত্যক্ত করতেন। মেয়েটি বাড়িতে সে কথা জানালে এক বার ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলেন সফিউল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। মেয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে কিছু দিন আগে অন্য একটি স্কুলে ভর্তি করান শিক্ষক। তার পরেই হামলার ঘটনা ঘটে(Murder Case in Murshidabad)। এই কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
কীভাবে হামলা করেন ওই যুবক?
স্থানীয় সুত্রে আরও জানা যাচ্ছে, প্রায় ২৫ দিন আগে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন সফিউল। বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় হঠাৎ সফিউলের উপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই যুবক। সফিউলের শরীরে একের পর এক কোপ মেরে যুবক পালিয়ে যান ওই যুবক। স্থানীয়দের দাবি, ওই আক্রমণকারী ব্যক্তির নাম হল আহাদ। রক্তাক্ত অবস্থায় সফিউলকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছিল সফিউলকে। সেখানে ভর্তি ছিলেন প্রায় ২৫ দিন। কিন্তু গত সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালেই(Murder Case in Murshidabad)।
আরও পড়ুন:Local Train Cancel News: বছরের শুরুতেই রেলে ভোগান্তি, ১০০ ঘন্টা বন্ধ ট্রেন পরিষেবা
ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপ
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের ধারা যুক্ত করে তদন্ত করবে পুলিশ। এলাকাবাসি দাবী করছেন অভিযুক্তকে কঠিনতম শাস্তি দেওয়া হোক।