ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দশকের পর দশক ধরে হাসপাতালের রাস্তা দখল করে ব্যবসা (Occupying Hospital Entrance)। সম্প্রতি সেই রাস্তা চওড়া করার উদ্যেশ্যে জবরদখল উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয় জবরদখলকারীদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নোটিশ ঘিরে শোরগোল। ঘটনাস্থল বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল (Bishnupur Super Specialty Hospital)। প্রশ্ন উঠছে পুরসভার ভূমিকা নিয়েও (Occupying Hospital Entrance)।
হাসপাতালে ঢোকার রাস্তা দখল! (Occupying Hospital Entrance)
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল (Bishnupur Super Specialty Hospital)। এই হাসপাতালের ওপর শুধুমাত্র বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকার রোগীরাই নয়, নির্ভরশীল পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) ও হুগলি (Hooghly) জেলার সীমানাবর্তী এলাকার মানুষও। কিন্তু এই হাসপাতালে যাতায়াতে রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। রাস্তা এতটাই সংকীর্ণ যে বড় গাড়ি বা বড় অ্যাম্বুলেন্স-এ রোগী নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ দুঃসাধ্য। সৌজন্যে জবরদখল। অভিযোগ দশকের পর দশক ধরে হাসপাতালের জায়গা দখল করে ব্যবসা (Occupying Hospital Entrance) চালিয়ে আসছেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী (Occupying Hospital Entrance)।
জবরদখল উচ্ছেদের নোটিশ (Occupying Hospital Entrance)
সম্প্রতি হাসপাতালে যাতায়াতের সেই রাস্তা চওড়া করার উদ্যেশ্যে জবরদখল উচ্ছেদে নামে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (Hospital Authorities)। আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে উচ্ছেদের নোটিশ (Notice Of Eviction By January 25) দেওয়া হয় জবরদখলকারীদের। আর সেই নোটিশ ঘিরেই শুরু হয় শোরগোল। ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে চালাবেন সংসার ? তা ভেবেই মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের (Occupying Hospital Entrance)।
পুরসভা নিচ্ছে ট্যাক্স (Municipality Is Collecting Tax)
জবরদখলকারীদের অভিযোগ হাসপাতালের জায়গায় এতদিন তাঁরা ব্যবসা চালিয়ে এলেও পুরসভাকে তাঁরা নিয়মিত ট্যাক্স দিয়ে এসেছেন (Municipality Is Taking Tax)। রয়েছে প্রয়োজনীয় ফুড লাইসেন্স (Food License) ও অন্যান্য অনুমতিও । ফুড লাইসেন্স এর ভ্যালিড রয়েছে ২০২৯ সাল পর্যন্ত। তাই এখন তাঁদের উচ্ছেদ করা হলে আগে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
উচ্ছেদের নোটিশে চিন্তায় যুবক (Worried About Eviction Notice)
হাসপাতাল চত্বরে থাকা দোকানগুলির মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার সাইন্সে (Computer Science) বিটেক ইঞ্জিনিয়ারিং (BTech Engineering) করা এক বেকার যুবকের দোকান। তাঁকেও উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (Bishnupur Super Specialty Hospital Authority)। এই দোকান চলে গেলে পরবর্তীতে সংসার চলবে কিভাবে ? তা ভেবেই দুশ্চিন্তায় ভুগছে যুবক।
আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি ICDS সুপারভাইজার নিয়োগে কাটল জট, সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ
মিলবে কি পুনর্বাসন? (Will There Be Rehabilitation)
পুনর্বাসন নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মুখে শোনা গেল অন্য সুর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর দাবী এতদিন জায়গা ফাঁকা ছিল। এখন জায়গাটি হাসপাতালের প্রয়োজন (The Place Is Needed By The Hospital)। তাই উচ্ছেদের নোটিশ (Notice Of Eviction) দেওয়া হয়েছে। এতে পুনর্বাসন দেওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই।
পুরসভার ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন (The Question Arises On The Role Of The Municipality)
হাসপাতালের জবরদখল করা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিষ্ণুপুর পুরসভা (Bishnupur Municipality) কীভাবে ট্যাক্স (Tax) সংগ্রহ করতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে সমগ্র ঘটনা নিয়ে বিষ্ণুপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।