ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (আইএনএলডি)-এর প্রধান ওম প্রকাশ চৌটালা শুক্রবার (Om Prakash Chautala Passes Away), ২০ ডিসেম্বর গুরগাঁওয়ে প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দলের মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন।
চলতি বছরের ৫ অক্টোবর হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় সিরসার চৌটালা গ্রামের একটি বুথে তাঁকে শেষবার জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল।
ভারতের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী চৌধুরী দেবীলালের পুত্র ওম প্রকাশ চৌটালা হরিয়ানার সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আইনগত জটিলতা ও কারাবাস (Om Prakash Chautala Passes Away)
২৭ মে ২০২২-এ সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) আদালত ১৬ বছরের পুরনো অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ মামলায় তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়। তখন তাঁর বয়স ছিল ৮৭ বছর, এবং তিনি দিল্লির তিহার জেলে সবচেয়ে বয়স্ক বন্দি হিসেবে পরিচিত হন (Om Prakash Chautala Passes Away)। পরে তাঁকে ২০২০ সালে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: India-China: পূর্ব লাদাখে এখনও মোতায়েন ভারত ও চিনের সেনা, সমাধানের খোঁজে ডোভাল-ওয়াং!
ব্যক্তিগত জীবন (Om Prakash Chautala Passes Away)
ওম প্রকাশ চৌটালার স্ত্রী স্নেহ লতা ২০১৯ সালের আগস্টে প্রয়াত হন। তাঁর তিন কন্যা ও দুই পুত্র রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে অভয় সিং চৌটালা ও অজয় সিং চৌটালা উল্লেখযোগ্য (Om Prakash Chautala Passes Away)।
অভয় সিং চৌটালা হরিয়ানার এলেনাবাদ কেন্দ্রের বিধায়ক এবং ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত হরিয়ানা বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন।
চৌটালার নাতি দুষ্যন্ত চৌটালা জননায়ক জনতা পার্টির নেতা এবং হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি লোকসভার হিসার কেন্দ্রের প্রাক্তন সংসদ সদস্যও।
রাজনীতিতে প্রবেশ ও কর্মজীবন
ওম প্রকাশ চৌটালা হরিয়ানার সিরসার নিকটবর্তী এক ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা চৌধুরী দেবীলাল ১৯৬৬ সালে হরিয়ানার রাজ্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং পরবর্তীতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের উপপ্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯৬ সালে দেবীলাল আইএনএলডি দল প্রতিষ্ঠা করেন।
আরও পড়ুন: Dhankhar No Confidence: ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা খারিজ! প্রস্তাবে ‘ত্রুটি’, তাই গৃহীত না
১৯৭০ সালে জনতা দলের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার চৌটালা হরিয়ানা বিধানসভায় নির্বাচিত হন। তাঁর প্রারম্ভিক রাজনৈতিক জীবন বিতর্কে জর্জরিত ছিল। ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিমানবন্দরে ঘড়ি আমদানি নিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব
১৯৮৯ সালে তিনি প্রথমবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী হন, তবে ছয় মাসের মধ্যে বিধানসভা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। ১৯৯৯ সালে চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হন এবং ২০০৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখযোগ্য অবদান
চৌটালার নেতৃত্বে হরিয়ানায় বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।