ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিজেপি পরিচালিত সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের নিজস্ব গোডাউন জবরদখল করে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশের সোনাচূড়া আউটপোস্ট তৈরি। বিডিও-সহ একাধিক জায়গায় আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পঞ্চায়েত। অবিলম্বে পঞ্চায়েতের গোডাউন থেকে আউটপোস্ট সরিয়ে পঞ্চায়েতকে ওই গোডাউন ফেরত দিয়ে দিতে নন্দীগ্রাম থানাকে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ জানুয়ারি।
নন্দীগ্রামে সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের জমিতে পঞ্চায়েতের টাকায় ২০১৪ সালে তৈরি পঞ্চায়েতের গোডাউন গত আগস্ট মাস থেকে জবরদখল করে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশের আউটপোস্ট। বহু জায়গায় আবেদন করেও সুরাহা না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পঞ্চায়েত। যেহেতু ওই পঞ্চায়েতটি বিজেপি পরিচালিত সেই কারণে জোর করে পুলিশ পঞ্চায়েতের ওই গোডাউন জবরদখল করেছে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/rahul-gandhi-amit-shah-on-ambedkar-police-complaint/
এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে সোনাচূড়া পঞ্চায়েত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানিতে মামলাকারী আইনজীবী অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েতের কাছ থেকে ওই জমিটি নিয়ে নেওয়ার জন্য সচেষ্ট হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাপরিষদ, পুলিশ এবং রাজ্য। পুলিশ সম্পূর্ণ অনৈতিক কাজ করছে।
তার উত্তরে আদালতে রাজ্য দাবী করে ২০১৫ সাল থেকেই তারা ওই জমিতে সোনাচূড়া আউটপোস্ট তৈরি করেছে।
মামলাকারিয়া আইনজীবী জানান, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গত ৬ আগস্ট বিডিও-র কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছিল যেন ওই জমিটি থেকে পুলিশ তাদের আউটপোস্ট সরিয়ে দেয় এবং জমিটি যেন পঞ্চায়েতকে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু, রাজ্য এদিন আদালতে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত ৭ আগস্ট নন্দীগ্রাম থানার আইসি জেলার এসপি-র কাছে আবেদন করেছেন যেন তিনি ল্যান্ড এন্ড হিল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের কাছে আবেদন করেন যে পঞ্চায়েতের ওই জমিটি রেকর্ড বদলে পঞ্চায়েতের থেকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বা তাদের ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।জমিটি পুলিশের নয় তা এর থেকেই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/rahul-gandhi-amit-shah-on-ambedkar-police-complaint/
সেই বিষয়টিও আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়। যেহেতু বিরোধী দল পরিচালিত পঞ্চায়েত সেই কারণে তাদের শিক্ষা দিতেই জেলা পরিষদের সঙ্গে পুলিশ ও রাজ্য সমঝোতা করেই এই কাজটি করা হয়েছে। এবং আদালতের কাছে রাজ্য মিথ্যে তথ্য পেশ করেছে।
শুনানিতে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। এবং নন্দীগ্রাম থানাকে পঞ্চায়েতের গোডাউন থেকে পুলিশের আউটপোস্ট সরিয়ে নেওয়ার এবং পঞ্চায়েতকে ওই গোডাউনটি ফিরিয়ে দেওয়ার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছেন। এবং গত ৭ আগস্ট জেলা পুলিশ সুপারকে লেখা নন্দীগ্রাম থানার আইসির আবেদনটিও যাতে কোনভাবে কার্যকর না হয় সেই নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ জানুয়ারি।