ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বলিউডের (Bollywood) জনপ্রিয় নাম রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)। একটা সময় যাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে ছিল একাধিক বিতর্ক। তবে তিনি শুধু অভিনেত্রী নন , তাঁর আরও একটা পরিচয় আছে। রিয়ার বাবা একজন সেনা কর্মী। এখন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারত (India)। একদিকে পাকিস্তানের (Pakistan ) লাগাতার গোলাবর্ষণ, তো অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভারতের প্রত্যাঘাত। এই মুহূর্তে ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে রিয়া কী লিখলেন? রিয়ার বার্তা কী? সৈনিকদের সম্মান জানিয়ে কী বললেন তিনি?
কাছ থেকে দেখেছেন সেনা কর্মীর জীবন (Rhea Chakraborty)
ভারতীয় চলচ্চিত্রে অন্যতম নাম রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)। অভিনয় জগতে তাঁর বেশ নাম ডাক রয়েছে। তবে তিনি এক সেনা কর্মীর জীবন খুব কাছে থেকে দেখেছেন। যেহেতু তাঁর বাবা একজন সেনা কর্মী। যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এক সেনার পরিবারের লোকজনের মনের অবস্থা কেমন থাকে তা তিনি জানিয়েছেন। রিয়ার কথায়, “আমি আপনাদের অনুভূতিগুলো দেখতে পাই এবং বুঝতে পারি। আমি আপনাদের পাশে আছি। এক সেনা পরিবারের তরফ থেকে আর এক সেনা পরিবারকে ভালোবাসা, শক্তি ও সেলাম জানাই – জয় হিন্দ।”
সীমান্তে প্রতিনিয়ত লড়াই (Rhea Chakraborty)
বর্তমানে ভারত -পাক সংঘাতের চিন্তায় কাটছে প্রতিটি মুহূর্ত। দেশবাসী মুখ চেয়ে রয়েছে সেনা বাহিনীর ওপর। সীমান্তে প্রতিটা ক্ষণেই জীবন বাজি রেখে লড়ে চলেছেন সেনা জওয়ানরা। এই মুহূর্তে সকলের পাশে সকলকে থাকার সময়। পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে একজন সেনা কর্মীর পরিবারের সদস্যরা ভীষণ উদ্বিগ্নে থাকেন। সে কথা সকলের সাথে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)।
আরও পড়ুন: Ranita Das: ছোট পর্দায় ‘বাহামণি’র কামব্যাক, রনিতার হাতেই ফাঁস তারকাদের হাঁড়ির খবর!
প্রতি মুহূর্তে নতুন কিছু শেখা
একজন সেনাকর্মীর পরিবারে থাকলে প্রতি মুহূর্তে নতুন কিছু শেখার থাকে। একজন সেনা কর্মীর কন্যা হিসেবে রিয়া বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি সেনার পোশাক যেন বাবার অঙ্গ হয়ে উঠেছিল। শান্ত, গর্বিত এবং সদা প্রস্তুত । এমনই দেখেছি বাবাকে । আর মাকে দেখতাম একজন সেনার মতই। চোখের জল ধরে রাখতেন।” তিনি আরও বলেন , “আমি ছোট বেলা থেকে সেনা কর্মী পরিবারে মানুষ হয়েছি বলেই বুঝতে পারি সেনা, নৌসেনা ও বায়ু সেনার বাড়ির প্রিয়জনরা কিভাবে অপেক্ষা করেন এবং প্রার্থনা করেন।”
আরও পড়ুন: Lopamudra Mitra: “ছেড়ে দিতে চাইনি… থেকে গেলে পারতে”, কার স্মৃতিতে কাতর লোপামুদ্রা?
সাহসের সাথে ধরে রাখা
যে কোনও যুদ্ধ মানেই ক্ষতি । শুধুমাত্র দেশবাসী আতঙ্কে থাকেন তা নয় , যে সমস্ত সেনা জওয়ান সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁদের প্রিয়জনেরাও প্রতিটা মুহূর্তে উদ্বিগ্নে থাকেন, ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন। কারোর বাবা,মা ,ভাই ,বোন, দাদা সীমান্তে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। ভীত সন্ত্রস্ত হাতগুলোকে সাহসের সাথে ধরে থাকেন সেনা জওয়ানরা। আর তাঁদের জন্যই আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারি।