ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন(Saline Controversy) প্রয়োগের পর তিন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়ে। যে সংস্থার স্যালাইনকে তাদের এই অসুস্থতার কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে, তাদের তৈরি সব স্যালাইন সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইনই এঁদের অসুস্থতার কারণ (Saline Controversy)
স্বাস্থ্য দফতরের ১৩ সদস্যের কমিটি প্রাথমিক তদন্ত করে অনুমান করেছে যে রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইনই এঁদের অসুস্থতার কারণ(Saline Controversy)। সংক্রমিত স্যালাইনে প্রসূতির মৃত্যুর প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পরে নিষিদ্ধ সংস্থার সমস্ত পণ্য সরকারি হাসপাতাল থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশিকা জারি হয়েছে স্বাস্থ্যভবন থেকে(Saline Controversy)।
কেন দেওয়া হয় এই স্যালাইন? (Saline Controversy)
ওই ধরনের বিশেষ স্যালাইন রক্তক্ষরণে রোধে ব্যবহার করা হয়(Saline Controversy)। ইন্টারভেনাস ফ্লুইড। আর সেই আরএল এবার বিতর্কের কেন্দ্রে। এই ফ্লুইড অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতার প্রয়োজন বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই স্যালাইন ব্যবহারের পর থেকেই প্রসূতিদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে। ভেঙে যায় রক্ত কণিকা। যার জন্য তাঁদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণও কমতে শুরু করেছিল।
আরও পড়ুন:Saline Controversy: স্যালাইন দেওয়ার পরেই অসুস্থ তিন প্রসূতি, গ্রিন করিডর করে পাঠানো হয় এসএসকেএম-এ
স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশে ফার্মাস্যুটিক্যালসের ১০টি পণ্য নিষিদ্ধ
শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্যভবন থেকে নির্দেশিকা জারি করে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যালসের ১০টি পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সমস্ত পণ্য হাসপাতালে কোথাও ব্যবহার করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। সেই তালিকায় রিঙ্গার ল্যাকটেট ছাড়াও রয়েছে, প্যারাসিটামল ও শিশুদের শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখতে ব্যবহৃত তরলও। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল ও স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ইতিমধ্যে পৌঁছেছে নির্দেশিকা।
নভেম্বর মাসে কর্নাটকে ৪ জন প্রসূতির মৃত্যু
জানা যায়, ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করে নভেম্বর মাসে কর্নাটকে ৪ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। এর পর পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল বলে ওই সংস্থার কারখানা পরিদর্শন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এর পর ওই সংস্থার ১৪টি পণ্য তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। ২০২৩ সালের মে মাস নাগাদ কর্নাটকের চারটি জেলায় প্রায় সাড়ে ৩২ হাজার ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ সরবরাহ করছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’। ওই স্যালাইনের মান নিয়ে প্রায় ২৭টি অভিযোগ পেয়েছিল কর্নাটকের স্বাস্থ্য দফতর। ১৬টির মতো স্যালাইনের নমুনা পরীক্ষায়, গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
আরও পড়ুন:Gangasagar mela 2025: শুরু গঙ্গাসাগর মেলা, পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেলের
কী বললেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম?
শুক্রবার প্রসূতির মৃত্যুর পর রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘আমরা আরও একবার ওই সংস্থার পণ্যব্যবহার করতে বারণ করে হাসপাতালগুলিকে চিঠি দিয়েছি। যে সমস্ত পণ্য হাসপাতালে মজুত রয়েছে সেগুলিও ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে।‘ স্বাস্থ্যসচিবের আশ্বাসের পরেও রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যালের পণ্য ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।