ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ত্রিবেণী, হুগলির এক প্রাচীন এবং (Tribeni Railway Over Bridge) সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। এখানকার ইতিহাস যেমন সমৃদ্ধ, তেমনি বারো মাসে তেরো পার্বণের জনারণ্যেও মুখর। বিশেষ করে কুম্ভমেলা, মিলন মেলা এবং গাজি দরগার উৎসবের সময় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এই এলাকায়।
যানজট সমস্যা (Tribeni Railway Over Bridge)
২০২১ সাল থেকে নতুন করে শুরু হওয়া ত্রিবেণী (Tribeni Railway Over Bridge) কুম্ভমেলা, এক মাস ধরে চলা শিবপুর মাঠের মিলন মেলা, এবং ধর্মীয় আবেগে ভরা গাজি দরগার উরষ-এই সমস্ত উৎসব শুধু আঞ্চলিকই নয়, রাজ্যব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই সব মেলার সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যানজট।
রেলগেট সমস্যা (Tribeni Railway Over Bridge)
বিশেষ করে ত্রিবেণী শ্মশান ঘাটে প্রতিদিন বহু গাড়ি যাতায়াত করে, ফলে রাস্তায় (Tribeni Railway Over Bridge) চাপ বাড়ে। তার সঙ্গে যুক্ত হয় রেলগেট সমস্যা। ত্রিবেণী রেল স্টেশনের নিকটবর্তী চার নম্বর রেলগেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বাসিন্দাদের। ফলে স্থানীয়দের যেমন দুর্ভোগ বাড়ে, তেমনই দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরাও পড়েন বিপাকে।
দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান
এই দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানে বহুদিন ধরেই দাবি উঠছিল একটি রেল ওভার ব্রিজ (আরওবি) নির্মাণের। সম্প্রতি সেই দাবি বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে প্রশাসন। হুগলির চুঁচুড়া সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী ও ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী চট্টোপাধ্যায় প্রস্তাবিত আরওবি এলাকাটি ঘুরে দেখেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রেল প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ)-এর আধিকারিকরাও।

রেল ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগ
এই রেল ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হতে চলা ওভার ব্রিজ যদি বাস্তব রূপ পায়, তবে ত্রিবেণীর বহুদিনের যানজট সমস্যা অনেকটাই হ্রাস পাবে। মেলার সময় ও দৈনন্দিন জীবনে রেলগেট সংক্রান্ত অসুবিধাও কমবে অনেকটাই। এলাকাবাসীদেরও একান্ত চাওয়া এই ব্রিজ যেন দ্রুত নির্মিত হয়। কারণ কেবল উৎসবের সময় নয়, বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জল জমে, যান চলাচল আরও জটিল হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: Food for Happy Mood: খাবারেই লুকিয়ে মন ভালো করার রসদ, খাবেন ঠিক কী কী?
ত্রিবেণীর মতো ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং রেলগেটমুক্ত রাস্তা তৈরি হলে, শুধু স্থানীয়রাই উপকৃত হবেন না, পর্যটনের ক্ষেত্রেও এটি নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হলে ত্রিবেণী নতুনভাবে পাবে তার প্রাপ্য সম্মান ও স্বাচ্ছন্দ্য। আর শহরের হৃদস্পন্দনে ফিরবে কাঙ্ক্ষিত গতি।