ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম (Trump On Gaja-Israel War) চর্চিত স্থান হল গাজা ভূখণ্ড। এই গাজা সম্পর্কে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে, গাজা দখল করবে আমেরিকা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক এবং যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের পর ট্রাম্প তার এই নতুন কূটনৈতিক অবস্থান প্রকাশ্যে আনেন।
গাজার উন্নয়ন করবেন ট্রাম্প (Trump On Gaja-Israel War)
ট্রাম্পের কথায়, আমেরিকা গাজা ভূখণ্ডের দখল নেবে (Trump On Gaja-Israel War) এবং সেখানে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। তিনি দাবি করেন, ‘‘আমরা গাজাতে উন্নতি করব। সেখানে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’’ এই ঘোষণায় তার লক্ষ্য, গাজা অঞ্চলে উন্নয়নের মাধ্যমে পশ্চিম এশিয়ার জন্য এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। একইসাথে, ট্রাম্প প্যালেস্টাইনিদের গাজা থেকে সরিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পুনর্বাসনের কথা বলেন, যা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এক নতুন দিক উন্মোচন করেছে।
গাজায় ট্রাম্পের বৈশ্বিক পুনর্বাসন পরিকল্পনা (Trump On Gaja-Israel War)
তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বেশ (Trump On Gaja-Israel War) কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। গাজা অঞ্চলে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষদের নিয়ে চিন্তা থাকলেও, ট্রাম্পের দাবি, গাজা শুধু প্যালেস্টাইনিদের নয়, বরং ‘‘বিশ্বের মানুষের বাসস্থল’’ হবে। এর মাধ্যমে তিনি একটি বৈশ্বিক পুনর্বাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চান। কিন্তু কীভাবে গাজাকে পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসন করা হবে, সে সম্পর্কে তিনি আরও বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে এই সম্পর্কে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: Regan Airport Video Leak: রিগান এয়ারপোর্ট দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফাঁস! দুই কর্মচারী গ্রেফতার
ট্রাম্পের সঙ্গে সহমত ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
এদিকে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের ঘোষণার সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ট্রাম্প সাধারণ ধারণার খোলস ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছেন’’। যদিও, নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় রয়েছে। বিশেষ করে, হামাস গাজার শাসক হিসেবে তাদের অবস্থানে স্থির রয়েছে এবং তারা কোনোভাবেই বিনাযুদ্ধে স্থান ত্যাগ করতে রাজি নয়। হামাসের নেতৃত্বের দাবি, ‘‘আমরা গাজা ছাড়ব না!’’
ইজরায়েল ও হামাসের সংঘাত
এর আগে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এটি ছিল ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাতের এক অস্থায়ী সমাধান। তবে, গাজা ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পরেও অঞ্চলটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
নয়া বিতর্কের সূত্রপাত
ট্রাম্পের ঘোষণার পর এই নতুন কূটনৈতিক পটভূমি বিশ্ব রাজনীতিতে একটি উত্তেজনার সৃষ্টি করবে। বিশেষত, গাজা অঞ্চলের ভবিষ্যৎ এবং প্যালেস্টাইনিদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলে একটি নতুন বিতর্ক শুরু হতে পারে।