ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ট্রাম্প ও মেটার মধ্যে চলা মামলা মীমাংসা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে (Trump vs Meta)। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরির জন্য মেটা ২২ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে দেবে বলে জানা গিয়েছে।
হোয়াইট হাউসে চুক্তি স্বাক্ষর (Trump vs Meta)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার হোয়াইট হাউসে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন (Trump vs Meta), যার ফলে মেটার বিরুদ্ধে তাঁর দায়ের করা মামলা শেষ হল বলে জানা গিয়েছে। মেটা, যা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসের মূল কোম্পানি, ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হামলার পর ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছিল। এই নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করেই ট্রাম্প এই মামলা করেছিলেন।
ট্রাম্পের লাইব্রেরির জন্য ২২ মিলিয়ন ডলার (Trump vs Meta)
এই চুক্তির ফলে মেটা ট্রাম্পকে প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে (Trump vs Meta)। এর মধ্যে ২২ মিলিয়ন ডলার ট্রাম্পের আসন্ন প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরির তহবিলে যাবে এবং বাকি ৩ মিলিয়ন ডলার মামলা লড়ার খরচ ও অন্যান্য অভিযোগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। বিষয়টির সম্পর্কে জানেন এমন এক ব্যক্তি এই তথ্য জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চান জুকারবার্গ
২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর থেকেই মেটার প্রধান মার্ক জাকারবার্গ তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তিনি ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন এবং সেই অনুষ্ঠানে ক্যাবিনেট সদস্যদের পাশে বসে উপস্থিত থাকেন।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসে নতুন কন্টেন্ট পর্যবেক্ষণের নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাগুলোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে এবং “এক্স” (আগের টুইটার)-এর মতো কমিউনিটি নোটস ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Denmark Boost Security: আর্কটিক ও উত্তর আটলান্টিকে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ডেনমার্ক
একজন সূত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও জুকারবার্গ গত নভেম্বর মাসে ট্রাম্পের ক্লাবে এক বৈঠকে এই মামলার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন।
সম্পর্কের পরিবর্তন
একসময় ট্রাম্প প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন যে তিনি জুকারবার্গকে কারাগারে পাঠাবেন। এমনকি গত গ্রীষ্মে প্রকাশিত একটি বইতে তিনি দাবি করেছিলেন যে ফেসবুক তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মেটা এমন কিছু পরিবর্তন এনেছে, যা ট্রাম্পের পছন্দসই হয়েছে।
মেটার নীতি পরিবর্তন
এই মাসের শুরুতেই মেটা তাদের বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক (DEI) কর্মসূচি বাতিল করার কথা ঘোষণা করে। এটি এমন এক সিদ্ধান্ত যা রক্ষণশীল সমর্থকদের চাপে অনেক প্রতিষ্ঠানই গ্রহণ করছে। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের কর্মসূচির বিরোধিতা করে আসছেন।
আরও পড়ুন: US Aid to Pakistan: সাময়িকভাবে বন্ধ মার্কিন সাহায্য! চাপে পাকিস্তান
ট্রাম্পপন্থীদের গুরুত্ব দিচ্ছে মেটা
মেটা তাদের পরিচালনা পর্ষদে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ইউএফসি প্রধান ডানা হোয়াইটকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। একইসঙ্গে সংস্থার শীর্ষ নীতিনির্ধারক পদে রিপাবলিকান নেতা জোয়েল ক্যাপলানকে নিয়ে আসা হয়েছে।
সেন্সরশিপ কমানোর উদ্যোগ
মেটা, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের কন্টেন্ট পর্যবেক্ষণের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং চুক্তি বাতিল করা হয়েছে এবং তার পরিবর্তে ব্যবহারকারীদের তৈরি “কমিউনিটি নোটস” ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এছাড়া স্বয়ংক্রিয় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিও সীমিত করা হয়েছে।
ট্রাম্প এবং তার সমর্থকরা বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো রক্ষণশীল কণ্ঠস্বরকে দমন করে। মেটার সাম্প্রতিক নীতিগুলি সেই অভিযোগের সমাধান করতেই নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।