China-Taiwan: তাইওয়ানকে কব্জা করতে কূটনৈতিক চাল সাজাচ্ছে চিন।সমুদ্রের নিচে থাকা ফাইবার-অপটিকক্যাল কেবল কেটে ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করার চেষ্টা চালালো বেজিং।ড্রাগেনের এই হামলার পর তাইওয়ান-চিনের মধ্যে সংঘাত যেকোনো সময় অন্য মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় আমেরিকা থেকেও খুব বেশি সাহায্য পাবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।
তাইওয়ানের অভিযোগ
এবছর ৫ জানুয়ারি জলসীমায় তাইওয়ানের জলসীমায় ঢুকেছিল ‘শুনসিন-৩৯’ নামের একটি চিনা জাহাজ। কিলুং বন্দরের কাছে নোঙর দিয়ে সমুদ্রের নিচে থাকা ফাইবার-অপটিক্যাল কেবল কেটে দেয়।এরপর সেখান থেকে জাহাজটিকে সরিয়ে নেয় চিন।আর এজন্যই মনে করা হচ্ছে তাইওয়ানকে দখলের জন্য চিন এবার অন্য কূটনৈতিক গুটি সাজাচ্ছে।
কীভাবে বোঝা গেল
সমুদ্রের গভীরে থাকা ফাইবার-অপটিক্যাল কেব্ল কাটার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে তাইওয়ানের চুংহওয়া টেলিযোগাযোগ দফতরে থাকা আধিকারিকদের।তাদের দাবি এই ফাইবার-অপটিক্যাল কেব্ল কাটার কারণে বিঘ্নিত হয় পরিষেবা।এই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে তাইওয়ানের উপকূলরক্ষী বাহিনী।তাঁরা দাবি করে,অভিযুক্ত চিনা জাহাজটিতে মোট সাতজন সদস্য ছিলেন।এই জাহাজের মালিক এক হংকং বাসী।
আরও পড়ুন: Pakistan News: পরমাণু অস্ত্র থাকার পরেও সামরিক শক্তিতে প্রথম দশে নেই পাকিস্তান!
এটাই কী প্রথমবার?
তাইওয়ানের জলসীমায় ঢুকে চিনের এই দাদাগিরি এটাই প্রথমবার নয়।২০২৩ সালে বেজিং-এর বিরুদ্ধে একই রকমের অভিযোগ তুলেছিল তাইওয়ান।সে বার তাইওয়ানের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে আর একটি দ্বীপের সংযোগকারী দুটি কেবলকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে চিনা নৌ-বাহিনীর বিরুদ্ধে।এর ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপটিতে বেশ কিছু সময়ের জন্য ব্যাহত হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা।
তাইওয়ান কেন দাবি করে চিন
তাইওয়ানকে বহু দিন ধরে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে চিন।চিনের কাছে তাইওয়ান একটি ‘বিদ্রোহী প্রদেশ’।এমনকি চিন তাইওয়ানকে স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাইনি।কিছুদিন আগে নতুন বছরের শুরুতেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন তাইওয়ান চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।তাইওয়ানকে তাঁরা দখল করার থেকে কেউ চিনকে রুখতে পারবে না।
আরও পড়ুন: Bangladesh Health System: কলকাতার বিকল্প কুনমিং? স্বাস্থ্যোদ্ধারে চিনে যাবে বাংলাদেশ?
বিপদে তাইওয়ান
আমেরিকায় ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে। এই পালা বদলের মুহূর্তে চিনের এই আগ্রাসনে ব্যাপক বিপদে তাইওয়ান। কেননা, আমেরিকার নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি বিশ্বে যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন।তাইওয়ানকেও সামরিক সাহায্য করতো আমেরিকা। তবে এবার কোনো যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে সেটা আর হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আমেরিকা তাইওয়ানকে সমর্থন না করলে চিনের জন্য তাইওয়ান দখল করা খুব বেশি কঠিন হবে না বলেই মনে করছেন প্রতি রক্ষা বিশেষজ্ঞরা।