ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্য কারাবাসের সাজা দিলেও, CBI এবং রাজ্য পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন তুলছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী, তাঁর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত বলে দাবি করেছেন। আর সেই নিয়েই এবার নির্যাতিতার পরিবারকে জবাব দিতে একে একে এগিয়ে আসতে শুরু করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
রবিবার নির্যাতিতার পরিবারের সমালোচনা করেন ফিরহাদ (RG Kar Case High Court) । বলেন,”আমরা অত্যন্ত সহানুভূতিশীল ওঁদের প্রতি। কিন্তু সন্তান শোকে এমন কিছু বলা উচিত নয়, যা ওঁর এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এখন যা হয়ে গিয়েছে, যাঁদের পাল্লায় পড়েছেন, এখন রাজনীতি করছেন ওঁরা। এটা ঠিক নয়।”
একই সুর শোনা গিয়েছিলো তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের গলাতেও (RG Kar Case High Court) । তিনি বলেন,”কেন মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন ওঁরা? মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ তো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীকে ধরেছে! তাঁরা কিছু অন্ধ, তৃণমূল বিরোধী, বাম-অতিবাম এবং চক্রান্তকারীর কথায় বিভ্রান্ত হয়ে সমানে অবস্থান বদলে চলেছেন।” সোমবার প্রেসক্লাবে কুণাল-ফিরহাদের উল্টো সুর শোনা গেল রাজ্যের আরেক মন্ত্রী শশী পাঁজার গলায় (RG Kar Case High Court) ।
আরও পড়ুন:https://tribetv.in/medinipur-saline-controversy-hc-asks-for-fir-copy/
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (RG Kar Case High Court) ফিরহাদ হাকিমের করা মন্তব্য নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন নির্যাতিতার বাবা। ফিরহাদ হাকিমকেই উল্টে নিজের এক্তিয়ারের মধ্যে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেন, ”ফিরহাদ হাকিম আমার মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত এরজন্য আমি কৃতজ্ঞ। উনি আগে শিয়ালদহ কোর্টের রায়ের কপিটা ভালো করে পড়ে আমার বিরুদ্ধে যা বলার বলবে। এক্তিয়ারের মধ্যে আছি কিংবা এক্তিয়ারের মধ্যে নেই। এবং এটাও বলব উনার যদি আমার মেয়ের বিচার পেতে যদি কোনও সুবিবেচনা দিতে চান তাহলে উনি আসুন, সুবিবেচনা দিন। অবশ্যই আমি সেটা গ্রহণ করব।”
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/calcutta-hc-on-jaynagar-case-suspensionand-asks-for/
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্তদের ফাঁসি চেয়ে সরব নির্যাতিতার বাবা-মা। যদিও ৯ অগাস্টের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী সোদপুরের নাটাগড়ে তাঁদের বাড়িতে আসার পর একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছিলেন। তারপরও বারবার নির্যাতিতার বাবা-মায়ের বয়ান বদল, শাসক-বিরোধীদের দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপে রীতিমত সরগরম রাজ্য রাজনীতি।