ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শুক্রবারই সাসপেন্ড হয়েছে করেছে আরাবুলকে(Arabul Islam)। আর এবার তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হল থানায়। অভিযোগ জানালেন তৃণমূলেরই নেতারা। বিজয়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আরাবুল(Arabul Islam) ও তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে।
সাসপেন্ডের আগেরদিন কোন্দলে জড়ান আরাবুল (Arabul Islam)
দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে শুক্রবার আরাবুলকে(Arabul Islam) সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। ঠিক তার আগের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে কোন্দলে জড়ান আরাবুল এবং তাঁর অনুগামীরা। তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা মনে করেন আরাবুল(Arabul Islam) বহুদিন ধরেই এমন কার্যকলাপ করে আসছেন যা দলের উপযোগী নয়। তাই উপর মহলে অভিযোগ করেন নেতারা।
হামলার অভিযোগ আরাবুলের বিরুদ্ধে (Arabul Islam)
ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক এবং তৃণমূল থেকে সদ্য সাসপেন্ড হওয়া আরাবুলের(Arabul Islam) বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন ভাঙড়-১ ব্লকের বন এবং ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আহছান মোল্লা। অভিযোগে নাম রয়েছে আরাবুলের ছেলে জেলা পরিষদের সদস্য হাকিমুলেরও। আহছানের বিজয়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন, তিনি বৃহস্পতিবার ভাঙড়-২ বিডিও অফিসে যখন জমি রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত কাজে গেছিলেন তখন তাঁর উপর হামলা করে আরাবুল ও হাকিমুলের লোকেরা। এই হামলার পিছনে আরাবুলের লোকেরাই ছিল সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিন্ত। তিনি জানান আরাবুলের তাঁর উপর হামলায় তাঁর প্রাণও যেতে পারত। ফলে নতুন করে আরাবুল-সহ ১০ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল নেতারা।
কী অভিযোগ করেছিলেন হাকিমুল?
সাসপেনশনের পর থেকে একদম চুপ করে রয়েছেন আরাবুল(Arabul Islam)। তাঁদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের নিয়ে আরাবুল বা তাঁর পুত্র কেউই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আরাবুলের পুত্র হাকিমুল অভিযোগ করেছিলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়েও ঘর পাননি আরাবুল। ভাঙড়-১ ব্লক থেকে কিছু বহিরাগত এসে তাঁর বাবাকে খারাপ কথা বলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার হাকিমুল জানিয়েছিলেন, ‘‘এখানে অশান্তি করার পরিকল্পনা করছে ওরা। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়।“
কী বললেন শওকতের ঘনিষ্ঠ আহসান?
শওকতের ঘনিষ্ঠ এক তৃণমুল নেতা ভাঙড়-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আহসান মোল্লা জানান দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে তিনি ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে ঢুকছিলেন। তখন তাঁকে গালাগালি করা হয়। তাঁর দিকে তেড়ে যান আরাবুল এবং তাঁর অনুগামীরা। তাঁর কথায়, ‘‘সে দিন পুলিশ না থাকলে আমায় প্রাণে মেরে ফেলা হত।’’ এদিকে আরাবুলের বহিষ্কার নিয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার দাবি করেছেন, যা হয়েছে তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নির্দেশেই হয়েছে।
কী বলছেন বিরোধীরা?
একসময় দলের দাপুটে নেতা ছিলেন আরাবুল। দলের অন্য নেতারা কেন তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনলেন তা নিয়ে মন্তব্য করছেন বিরোধীরা। আরাবুল যে দলের কাজে কতটা সক্রিয় ছিলেন, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বিরোধী নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলছেন, “এটাই তৃণমূল। দলের যাঁরা পুরনো নেতা, যাঁরা গোড়া থেকে ছিলেন, তাঁরা আজ দলে ব্রাত্য।”