ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন তৃণমূলের মুখপাত্র চিকিৎসক শান্তনু সেন (Santanu Sen) এবং ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) সাসপেন্ড করল তৃণমূল (Arabul Islam and Santanu Sen Suspended)।দলবিরোধী কাজের অভিযোগে এই দুই নেতাকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
দ্বিতীয়বার সাসপেন্ডেড ‘তাজা নেতা’ (Arabul Islam and Santanu Sen Suspended)
ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। যাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিতর্কের পর বিতর্ক। ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে এর আগেও দল সাসপেন্ড করেছিল(Arabul Islam and Santanu Sen Suspended)। সেবার সাসপেনশনের মেয়াদ ছিল ৬ বছর। কিন্তু, দেড় বছরের মধ্য়েই তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।পরে অবশ্য সেই শাস্তি প্রত্যাহার করে ভাঙড়ের ‘তাজা’ নেতাকে দলে ফিরিয়ে নেয় শাসক দল। এবার ফের দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল।
আরও পড়ুন : https://tribetv.in/sourav-ganguly-can-not-take-land-on-lease-for-rupees-on/
নেপথ্যে শওকত – আরাবুল দ্বন্দ্ব ? (Arabul Islam and Santanu Sen Suspended)
আইএসএফ কর্মীকে খুনের অভিযোগে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুলকে গ্রেফতার করেছিল উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। ৭ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পান তিনি। জামিন পাওয়ার পর ভাঙড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন আরাবুল ইসলাম।এরপর তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার সঙ্গে তাঁর সংঘাত প্রকট হয়। এই বিষয়টিকে দল মোটেও ভালো চোখে দেখেনি। আগেও বারবার দলনেত্রী (Mamata Banerjee) সতর্ক করেছিলেন, দলে কোনওরকম দ্বন্দ্ব একেবারেই মেনে নেওয়া হবে না।এরপর নতুন বছরের প্রথমদিনই তৃণমূলের দলীয় পতাকা উত্তোলনের সময় গোষ্ঠীসংঘর্ষে জড়ান আরাবুল। সেদিন আরাবুলের অভিযোগ ছিল, পতাকা উত্তোলনে তাঁকে বাধা দিয়েছেন শওকত মোল্লা ও তাঁর অনুগামীরা। তাঁর ওপর হামলা চালানো, গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে এফআইআরও করেন তিনি। দল যে সেটা ভালভাবে নেয়নি, এদিন সেই প্রমাণই মিলল (Arabul Islam and Santanu Sen Suspended)।
আরও পড়ুন https://tribetv.in/calcutta-high-court-suspension-of-the-panel-for-head-te/
সাসপেন্ড শান্তনু সেন
আরজি কর কাণ্ডের পর মুখ খুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। কার্যত তৃণমূল সরকারের উল্টো সুরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন শান্তনু সেন।তারপর তাঁকে তৃণমূলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। সম্প্রতি রোগীকল্যাণ সমিতি চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরানো হয় তাঁকে। ফের একবার দলের রোষে পড়তে হল তাঁকে। যদিও সম্প্রতি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিনকয়েক আগে ডায়মন্ড হারবার ডাক্তারদের নিয়ে যে সম্মেলন করেছিলেন, সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন এই চিকিৎসক নেতা। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য শান্তনু সেনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ছিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপর এদিন দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে দলবিরোধী বিভিন্ন কাজের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করে।