ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অবশেষে সংঘাত ভুলে সৌজন্যের ছবি, পুরোনো রেষারেষি সরিয়ে রেখে বিধানসভায় যাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। সব কিছু ঠিক থাকলে সোমবার বিধানসভায় গিয়ে নবনির্বাচিত ছয় বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Anand Bose) মুখোমুখি সাক্ষাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের শপথগ্রহণ (CV Anand Bose)
গত ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ছিল। এগুলি হল- মেদিনীপুর, মাদারিহাট, সিতাই, তালডাংরা, নৈহাটি ও হাড়োয়া। ২৩ নভেম্বর গণনার পর দেখা যায়, ৬ আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।বিধানসভায় গিয়ে নবনির্বাচিত সেই ছয় বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। বিধানসভায় শপথগ্রহণের পর তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় কাজ শুরু করতে পারবেন।
উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের শপথগ্রহণ করাবেন রাজ্যপাল (CV Anand Bose)
অতীতে একাধিকবার উপ নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের শপথগ্রহণ নিয়ে বিধানসভা বনাম রাজভবনের দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। কিন্তু এবারের ছবি একেবারেই আলাদা। ২৩ নভেম্বর ফল প্রকাশের পর নিয়ম মত বিধানসভার তরফে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথের বিষয়টি নিয়ে রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। পরিষদীয় দলের তরফেও রাজ্যপালের কাছে বার্তা পাঠানো হয়। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে রাজ্যপাল (CV Anand Bose) স্পিকারের উপরই শপথের দায়িত্ব দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: Assembly session: ‘কেন্দ্রের বঞ্চনা’ আলোচনায় জমজমাট বিধানসভা, আলোচনা শেষে ওয়াকআউট বিজেপির
আগে কয়েকবার এমনই হয়েছে। সে নিয়ে বিতর্কও হয়েছে বিস্তর। কিন্তু এবার বিধানসভা থেকে স্পিকারের চিঠি যাওয়ার পরই রাজভবনের তরফে জবাবি চিঠিতে জানানো হয়েছে, সোমবার রাজ্যপাল বোস (CV Anand Bose) নিজেই বিধানসভায় এসে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। আগামী সোমবার, ২ ডিসেম্বর বেলা ১১টা নাগাদ ছয় বিধায়কের শপথ হবে।
মমতা-আনন্দ সাক্ষাৎ
সোমবার বিধানসভায় আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেদিন বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে পারেন মমতা।এ ছাড়াও ওই দিন বিধানসভায় ওয়াকফ বিল বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। ফলে এই আবহে অনেকদিন পর মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল ফের মুখোমুখি হবে বিধানসভায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় ছাড়া আর কি কথা হয়, তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে।
দ্বন্দ্ব ভুলে সৌজন্যের বার্তা
সম্প্রতি অতীতে যখন বিধায়ক পদে জিতেছিলেন নির্মলচন্দ্র রায়, সে সময় থেকেই শপথবাক্য পাঠ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। তারপর বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেনের শপথবাক্য কে পাঠ করাবেন এবং কোথায় শপথগ্রহণ হবে সে নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সেই দ্বন্দ্বের মেঘ কাটতে চলেছে।
রাজনৈতিক মহলের মত, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই দ্বন্দ্ব ভুলে সৌজন্যের বার্তা দিতেই দু’পক্ষ একমঞ্চে আসতে উদ্যোগী হয়েছেন।