ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিমুক্তি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত (India Reaction on Gaza Ceasefire)। ১৫ মাসের দীর্ঘ যুদ্ধের পর গাজার জনগণের জন্য “নিরাপদ ও টেকসই মানবিক সহায়তা” পৌঁছানোর আশা প্রকাশ করেছে ভারত।
কী বলেছে বিদেশ দফতর? (India Reaction on Gaza Ceasefire)
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিদের মুক্তির চুক্তি ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই (India Reaction on Gaza Ceasefire)। আমরা আশা করি, এর ফলে গাজার জনগণের কাছে নিরাপদ ও ধারাবাহিক মানবিক সহায়তা পৌঁছাবে। আমরা বরাবরই সমস্ত বন্দির মুক্তি, যুদ্ধবিরতি এবং সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার আহ্বান জানিয়েছি।”
মধ্যস্থতার পর চুক্তি বাস্তবায়ন (India Reaction on Gaza Ceasefire)
বুধবার, কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাসব্যাপী মধ্যস্থতার পর ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় (India Reaction on Gaza Ceasefire)। ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি আসে, যা উপকূলীয় গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক ধ্বংস এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছিল।
আরও পড়ুন: Hindenburg Research: ভেঙে দেওয়া হচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ, বড় ঘোষণা ন্যাথান অ্যান্ডারসনের
কী বলা হয়েছে চুক্তিতে?
চুক্তিতে বলা হয়েছে, ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি থাকবে এবং ধীরে ধীরে ইজরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে সরে আসবে। হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দি প্যালেস্তিনীয় কয়েদিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।
এছাড়া, গাজার জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়েও চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি তাদের সহায়তা কার্যক্রম বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চুক্তির পরেও হামলা
তবে চুক্তি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইজরায়েল গাজায় হামলা আরও তীব্র করেছে বলে জানিয়েছেন গাজার বাসিন্দা ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ইজরায়েলের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই চুক্তি তাদের নিরাপত্তা ক্যাবিনেট এবং সরকারের অনুমোদনের পরই কার্যকর হবে। ভোট বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: Sudan Shelling: সুদানের খার্তুমে গোলাবর্ষণ, নিহত ১২০, দুর্ভিক্ষের দিকে এগোচ্ছে দেশ
নতুন করে বেড়েছে নিহতের সংখ্যা
রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার রাতে গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে হামলা অব্যাহত থাকে এবং দক্ষিণ গাজার রাফা, মধ্য গাজার নুসাইরাত এবং উত্তর গাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।
গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ব্যবস্থা
এই আলোচনায় গাজার ভবিষ্যৎ শাসন নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ইজরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে শাসনের কোনও ভূমিকা দেওয়া হবে না এবং প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণও তারা প্রত্যাখ্যান করেছে।
তবে আন্তর্জাতিক মহল বলছে, গাজা অবশ্যই প্যালেস্তিনীয়দের দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। তবে বিকল্প কোনও গোষ্ঠী বা সামাজিক নেতৃত্ব খুঁজে বের করা এখনও সম্ভব হয়নি।