ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের (Jaynagar Case) ঘটনায় নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামির। মৃত্যুদণ্ড রদের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ মুস্তাকিন সর্দার। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি বসাকের বেঞ্চ। আগামী সোমবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়নগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় (Jaynagar Case) মুস্তাকিন সর্দার নামে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির রায় দিয়েছিলেন বারুইপুর অতিরিক্ত জেলা দায়রা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। এবার সেই মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলো আসামি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে মৃত্যুদণ্ড রদের আবেদন জানালেন মুস্তাকিন। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি বসাকের বেঞ্চ। আগামী সোমবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনে দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা (Jaynagar Case)
গত ৪ অক্টোবর মধ্যরাতে জয়নগর থানা এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ (Jaynagar Case)। তারপরের দিন অর্থাৎ ৫ অক্টোবর জয়নগর থানার পুলিশ মুস্তাকিনকে গ্রেফতার করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে সিট গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার এক মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে গত বছর ৫ ডিসেম্বর মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বারুইপুর অতিরিক্ত জেলা দায়রা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। তারপরের দিন অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন বিচারক।পাশাপাশি, মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেয় আদালত। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয় মাত্র ৬৪ দিনের মধ্যে।
আরও পড়ুন: Kolkata Book Fair 2025: কলকাতা বইমেলায় স্টল দিতে পারবে না বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আদালতে খারিজ আর্জি
দেড় মাস পর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঘটনায় (Jaynagar Case) ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুস্তাকিন। তার আইনজীবীর দাবি, গোটা ঘটনায় তাড়াহুড়ো করে বিচার করা হয়েছে। মুস্তাকিনের কোনও বক্তব্য শোনা হয়নি। সে এই কাজ করেনি। সম্পূর্ণ নির্দোষ। গোটা ঘটনায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তার আরও অভিযোগ, তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়ায় অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। কেন্দ্রীয় যে হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই নাবালিকার ময়নাতদন্ত হয়েছিল সেখানে কোনও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না। এই সমস্ত কারণে মৃত্যুদণ্ড রদের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া মুস্তাকিন। আগামী সোমবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি।