ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বক্স অফিসে সন্তানের গর্জন। বক্স অফিসে ‘সন্তান’ (Santan) পিছিয়ে নেই। ‘সন্তান’ রীতিমত গর্জন করছে। আর এটা শুধুমাত্র একটা ছবি নয়, এটা একটা বাস্তব। বাস্তবের গল্প বলছে ‘সন্তান’। এমনটাই বার্তা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।
বাস্তবের নিখুঁত গল্প (Santan)
বড়দিন উপলক্ষে বাংলা বক্স অফিসে এখন দর্শকদের জন্য রয়েছে চারটি ছবি। ‘সন্তান’ (Santan), ‘খাদান’, ‘চালচিত্র’ এবং ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’। এই প্রথম ফ্যামিলি ড্রামা নিয়ে এসেছেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakroborty)। তাঁর ‘সন্তান’ ছবি দেখে ইতিমধ্যেই বহু বাবা-মায়ের চোখে জল। যারা ছবিটি দেখছে তারাই আবেগঘন হয়ে পড়ছেন। রুপালি পর্দায় নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, বাস্তবের গল্প। বর্তমানে বহু সন্তান জীবনে দাঁড়িয়ে গেলে, বাবা-মাকে বোঝা বলে মনে করে। অথচ যে বাবা-মা রক্ত জল করে ছেলে মেয়েকে মানুষ করল, সেই বাবা মায়ের মর্মই বোঝে না।
মিঠুনের বার্তা (Santan)
মিঠুন চক্রবর্তী এবার প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ এর পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন একটি বার্তা। বললেন, ‘সন্তান’ (Santan) রিলিজ হয়ে গিয়েছে। আর বক্স অফিসে ছবিটি রীতিমত গর্জন করছে। এটা শুধু একটি ছবি নয়। এটা বাস্তব। এটা সারা জীবনের অভিজ্ঞতা। সেটা ছেলের জন্য হোক কিংবা বাবার জন্য। তাই এই ছবিটি আপনাদের দেখা উচিত। এই ছবিটি অন্তরাত্মার ছবি।
আরও পড়ুন: Dipanwita Rakshit: ওয়েব সিরিজে দিপান্বীতা, ক্লিকে আসছে মরীচিকার রহস্য!
অসহায় বাবা মায়ের জন্য আইন
মিঠুন চক্রবর্তী সংযোজন করলেন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। বললেন, অনেকে হয়ত জানেন না, সেকশন ১২৫ এর কথা। যেখানে বলা আছে, বাবা-মা তার অধিকার পাওয়ার জন্য আদালতের লড়তে পারবেন। বিশেষ করে যে ছেলে মেয়েরা বাবা-মাকে দেখছে না, বাবা মাকে খুব কষ্টে রেখে দিয়েছে, সেই বাবা-মায়ের জন্য এই আইন। সবার জানা উচিত। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করেন, এটা যেন না করতে হয় । ছেলেরা যেন বাবা মায়েদের দেখে। যতটুকু পারে, ততটুকু দিয়েই যেন পাশে থাকে।
সন্তানের কাহিনি
ছবিটিতে নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাস্তবের দৃশ্য। ‘সন্তান’ যেন বর্তমান সময়ের আয়না। যেখানে বাবা মায়ের ভূমিকায় রয়েছেন মিঠুন আর অনুসূয়া। অপরদিকে ছেলে বৌমার ভূমিকায় রয়েছেন ঋত্বিক এবং অহনা। রাজ চক্রবর্তীর এই ছবির গল্প অনুযায়ী, বাবা মায়ের দায়িত্ব নিতে চায় না ছেলে বৌমা। শুধুমাত্র মাসে মাসে মাসোহারা পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু বাড়তি কোনও খরচ দেয় না। তাছাড়া মানুষ বৃদ্ধ হলে, শারীরিক নানান জটিলতা দেখা দেয়। তখন একটা খরচের ব্যাপার রয়েছে। কিন্তু ছেলে বৌমা বাড়তি আবেগের লেনদেনে যেতেই নারাজ। এই ঘটনা সম্পূর্ণ ঘুরে যায় আইনি পথে। লড়াই চলে পিতা আর পুত্রের মধ্যে। ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করে বাবা। সেই কাহিনী নিয়েই ছবিটি। যেখানে আইনজীবীর ভূমিকায় রয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Shaan: গায়ক শানের আবাসনে ভয়াবহ আগুন, চিন্তায় অনুরাগীরা!
সময়ের উপযোগী সিনেমা
বর্তমান সময়ের উপযোগী একটি সিনেমা ‘সন্তান’। সমাজকে একটা বড় বার্তা দিল। বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মায়ের শেষ সম্বল কিন্তু তাদের সন্তান। সন্তানের উচিত, তাদের বাবা-মা ছোটবেলায় তাদের যেমন ভাবে খেয়াল রেখেছে, ঠিক তেমন ভাবেই বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মাকে খেয়াল রাখা। না হলে ‘সন্তান’ শব্দের অর্থ সেই ছেলে মেয়ের জন্য একেবারেই উপযুক্ত হবে না। মাহাত্ম্য হারাবে ‘সন্তান’ শব্দের অর্থ।