ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কঠিন সময়ের মধ্যেও নতুন গান উপহার। পৌষালী ব্যানার্জি (Pousali Banerjee), এতদিন যাঁকে দেখা যেত লোকসংগীত গাইতে। এখন সেই ঘরানার বাইরে তিনি গাইছেন, একটু অন্যরকম গান। সেমি ক্লাসিক্যাল ঘরানার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে, তাঁর গান ‘তুমি বিনা’র (Tumi Bina) মিউজিক ভিডিয়ো। গানটির সঙ্গীত পরিচালক ও গীতিকার কৌস্তভ হাইত। গানের সঙ্গীত অনুষঙ্গ করেছেন রুদ্র। মিক্সিং ও মাস্টারিং-এর দায়িত্বে রয়েছেন ঈশান মিত্র।
নতুন গান উপহার (Pousali Banerjee)
কিন্তু হঠাৎ করে কেনই বা পৌষালীর (Pousali Banerjee) মনে হল, তিনি একদম অন্য ঘরানার গান গাইবেন? সম্প্রতি বড় ধাক্কা সয়ে উঠেছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, তাঁকে পুরো এক মাস বিশ্রামে থাকতে হয়। কিন্তু শিল্পী মন বলে কথা। কিছুতেই যেন ঘরে চুপ করে মন বসে না। জীবনের এত কঠিন সময়ের মধ্যেও তিনি কীভাবে নতুন গান গাইলেন? জানালেন ট্রাইব টিভিকে।
শিল্পী মানুষ বিশ্রাম নিতে পারে না (Pousali Banerjee)
সংগীত শিল্পী পৌষালী ব্যানার্জীর (Pousali Banerjee) গলব্লাডার স্টোন হয়েছিল। এত বড় একটা অপারেশন হয়েছে। চিকিৎসক তাঁকে বিশ্রামে থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু তাঁর কথায়, যারা শিল্পী মানুষ তারা ওভাবে বিশ্রাম নিতে পারে না। তখনই তিনি ভাবলেন, “এতদিন তো লোকসংগীত গেয়েছেন। ওটা আজীবন থাকবে। আমি বদ্ধপরিকর। ওই বিষয় নিয়ে যখন আমি মাঠে নেমেছি, তখন আমি ওই বিষয়টা নিয়ে পুরোটা খেলে তারপর উপরে উঠব”।
আরও পড়ুন: Raima Sen: ট্রোল মিম থেকে দূরে থাকেন রাইমা, চালচিত্রে স্ক্রিপ্ট না দেখেই কাজ!
গঠনমূলক সমালোচনা সব সময় গ্রহণযোগ্য
পৌষালীর অনেকেই চেনা পরিচিত থেকে প্রিয়জন বারংবার বলেছিলেন, একবার নিজেকে ভেঙে দেখা দরকার। একবার চেনা ঘরানার বাইরে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন অনেকেই। যদি সেটা মানুষ গ্রহণ করে এবং আশা করে যে পৌষালী এটা পারবে, তাহলে তো ভালই। আর সেই জায়গা থেকেই পৌষালীর ‘ তুমি বিনা’ গানটি গাওয়া। পৌষালী মনে করেন, গঠনমূলক সমালোচনা সব সময় গ্রহণযোগ্য।
তাঁর বিশ্বাস, দর্শক এই গানটি শুনবে, আর শুনছেও। তাঁকে চিকিৎসক বলেছিলেন, একমাস অর্থাৎ পুরো চার সপ্তাহ চুপ থাকতে। এক মাস কাটা মাত্রই আর বিন্দুমাত্র দেরি করেননি। ফিরেছেন সেই আগের ফর্মে। নিজের ফিল্ডে। পরপর প্রোগ্রাম করছেন।
আরও পড়ুন: Ei Raat Tomar Amar: দাম্পত্য জীবনের না বলা কথায় পরমব্রত, ফিরছে অঞ্জন-অপর্ণার ম্যাজিক
পৌষালী আনন্দে থাকতে ভালোবাসেন
জীবনের এই কঠিন সময়ের পরেও এতটা এনার্জি দিয়ে কীভাবে গান গাইছেন? আসলে নতুন কাজ, মানুষের সঙ্গে আলোচনা, এই সবটা নিয়ে পৌষালীর জগৎ। কাজ কখনও থামানো যাবে না। আর ‘তুমি বিনা’র কাজ নিয়ে তিনি ভীষণই এক্সাইটেড ছিলেন। একেবারেই অন্যরকম একটা কাজ। নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে খাঁটি পরীক্ষা চালিয়েছেন যাকে বলে। তাছাড়া তিনি মনে করেন, নেগেটিভিটি দুঃখ সারা জীবন থাকবে। এগুলো ডাল ভাতের মতো। কিন্তু পজিটিভিটি হল বিরিয়ানি। পৌষালী আনন্দে খুশিতেই থাকতে ভালোবাসেন । এভাবেই নিজেকে সবসময় ভালো রাখার চেষ্টা করেন। নেগেটিভিকে নিজের ধারে কাছে আসতে দেন না।