ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: টলিপাড়ার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (Rituparna Sengupta’s Mother Death) জীবনে হঠাৎ করে নেমে এলো বিষাদের ছায়া। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী। প্রয়াত ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মা (Mother)। দীর্ঘ অসুস্থতায় ভুগছিলেন। অবশেষে শেষ রক্ষা হল না। মাকে হারিয়ে অভিনেত্রী ভীষণই ভেঙে পড়েছেন। ঋতুপর্ণার পাশে এখন রয়েছেন তাঁর ভাই এবং আপ্তসহায়ক শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়।
ঠিক কী হয়েছিল? (Rituparna Sengupta’s Mother Death)
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মা নন্দিতা সেনগুপ্ত (Nandita Sengupta) দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৬ বছর। বিশেষ করে চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ থেকেই, নন্দিতা দেবী ভীষণ ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডায়ালিসিস চলছিল। একাধিকবার পরীক্ষা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, অভিনেত্রীর মায়ের প্লেটলেট অনেক কম। রক্তচাপ কমে গিয়েছে। এছাড়াও শরীরে ছিল নানান জটিল সমস্যা। শেষপর্যন্ত নন্দিতা দেবীকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল।
স্বামী থাকেন সিঙ্গাপুরে (Rituparna Sengupta’s Mother Death)
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের স্বামী সঞ্জয় কলকাতায় থাকেন না। সিঙ্গাপুরে থাকেন। দুঃসংবাদ (Rituparna Sengupta’s Mother Death) শোনার পরেই অভিনেত্রী স্বামীর সঞ্জয় চক্রবর্তী মেয়ে ঋষণাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তবে অভিনেত্রীর ছেলে আসতে পারছেন না। কারণ ছেলে অঙ্কন পড়াশোনার সূত্রে এখন বস্টনে রয়েছে। তবে তিনি দিদাকে শেষবারের জন্য দেখলেন ভিডিয়ো কলে। এর আগেও যখন নন্দিতা দেবী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তখন শাশুড়িকে দেখতে কলকাতায় এসেছিলেন জামাই সঞ্জয়। এছাড়াও ঋতুপর্ণার পাশে রয়েছেন, তার ভাই এবং মাসতুতো বোন। তিনি মুম্বই থাকেন। তিনিও কলকাতা এসেছেন।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট
সামাজিক মাধ্যমে পস্ট করে এই খবর জানিয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি লিখেছেন, “আমার মা নন্দিতা সেনগুপ্ত আজ দুপুরে চলে গেলেন। আমাদের পরিবারের বন্ধু, আত্মীয়দের অনুরোধ করছি যে তারা সবাই যেন রাত ৮টা নাগাদ ৫বি, রবিনসন স্ট্রিট, কাঞ্চনজঙ্ঘা আবাসনে চলে আসেন। আপনাদের একটাই অনুরোধ যে এই সময় আপনাদের সহমর্মিতা ও সহযোগিতাই আমার একমাত্র কাম্য।”
আরও পড়ুন: Annwesha Hazra: খারাপ সময় কাটালেন অন্বেষা, শুটিংয়ে ফিরলেন স্বীকৃতিকে নিয়ে!
দক্ষিণ কলকাতার হাসপাতালে
অভিনেত্রী মা দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এর আগেও অভিনেত্রীকে এক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা গিয়েছিল, ভেন্টিলেশন শব্দটা শুনলে প্রত্যেকে ভয় পান। তাঁরও ভয় করছে। তাঁর মন খারাপ। কিন্তু ইতিবাচক ভাবনা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। অভিনেত্রী বিশ্বাস করেন, তাঁর মা খুব লড়াকু। আশা করেছিলেন, এই যুদ্ধে তাঁর মা জয়ী হয়ে ফিরবেন। নন্দিতা সেনগুপ্তকে গত বছরও কিডনির সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তবে এবারের যুদ্ধে তিনি আর জয়ী হলেন না। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
আরও পড়ুন: Mithun Chakraborty: বাংলাদেশের নায়িকার সঙ্গে মিঠুনের জুটি, ফিরছেন নায়কের ভূমিকায় নতুন ফর্মে!
হাসপাতালেই কাটছিল অভিনেত্রীর সময়
বিগত কয়েকদিন ধরেই মায়ের অসুস্থতার কারণে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার হাসপাতালেই সময় কাটছিল। মাঝে কয়েক দিনের জন্য জরুরী কাজে শহর ছেড়েছিলেন তিনি। পৃথিবীর সব থেকে অমূল্য সম্পদ মা। আর সেই মা যখন নেই, তখন মানসিক ভাবে যে তিনি ভেঙে পড়বেন, সেটাই স্বাভাবিক। আর তাছাড়া অভিনেত্রী মানসিক দিক থেকে বরাবরই মায়ের উপর বেশি নির্ভরশীল। মা চলে যাওয়ায় কথা বলার ক্ষমতাটুকু তিনি হারিয়েছেন। আপাতত ঠিক হয়েছে, কালীঘাট শ্মশানে নন্দিতা সেনগুপ্তের শেষকৃত্য হবে।