ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সোমবার দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিট নাগাদ শিয়ালদহ আদালতের ২১০ নং কোর্টরুমে শুরু হয় সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া (RG Kar Murder Case)। আদালতে কক্ষে প্রায় আধ ঘণ্টা সঞ্জয় (Sanjay Roy) এবং তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য শুনলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। শোনা হয় নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্যও। প্রথমেই বিচারক সঞ্জয়কে বলেন আপনাকে আগে বলেছিলাম চার্জ আনা হয়েছে, সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে। আপনার শাস্তির বিষয়ে কি বলার আছে? ফাঁসানো হয়েছে বলেই দাবি করেন ধৃত সঞ্জয় রায়।
‘আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল, আমি যদি করতাম আমার মালা ছিঁড়ে যেত। আপনি সব শুনেছেন, যেমন যার ইচ্ছা হচ্ছে তাই করছে। যেখানে ইচ্ছা হয়েছে সেখানে সই করানো হয়েছে বলে আদালতে বিস্ফোরক দাবি করেছেন ধৃত সঞ্জয় রায় (Sanjay Roy)। সঞ্জয়ের কথা শুনে বিচারক বলেন, আপনাকে শোনার জন্য গোটা দিন দিয়েছি। ৩ ঘণ্টা ধরে আপনার কথা শুনেছি, আপনার থেকে ভালো কেউ জানে না কি হয়েছে। সঞ্জয়ের বাড়ির লোক মামলা চলাকালীন যোগাযোগ করেন কিনা প্রশ্ন করেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সঞ্জয় জানান, যোগাযোগ করে না। হেফাজতে থাকাকালীন অত্যাচার করা হয়েছে, বিচারকের কাছে দাবি সঞ্জয়ের।
আরও পড়ুন: RG Kar Murder Case: আরজি কর মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়, সাজা ঘোষণা সোমবার
সিবিআই (CBI) বিচারককে জানিয়েছে বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ এটি। চিকিৎসক ডিউটিতে ছিলেন। শুধু পরিবার এক জন সদস্যকে নয়, এক জন চিকিৎসককে সমাজ হারিয়েছে। কঠিন শাস্তির পক্ষে সওয়াল করা হয়। সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি সিবিআইয়ের আইনজীবীর। সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি পরিবারের আইনজীবীর। ‘সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই’।
আরও পড়ুন: RG Kar Case Verdict: ১৬২ দিন পর আরজি কর মামলার রায়, সঞ্জয় দোষী ঘোষণা আদালতের
মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা সঞ্জয়ের আইনজীবীর। ‘সমাজ থেকে কাউকে বাদ দিয়ে দেওয়াটা সমাধান নয়, তীব্র বিরোধীতা করছি মৃত্যুদণ্ডের, জানান সঞ্জয়ের (Sanjay Roy) আইনজীবী। ‘মামলার এখনও তদন্ত বাকি রয়েছে, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া যে শাস্তি আছে সেই শাস্তি দেওয়া হোক’। সঞ্জয়ের আইনজীবীরা দাবি করেন, এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়। মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে সওয়াল করেন তাঁরা।