ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর হামলা। সেই মামলার তদন্ত চলছে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে। যত সময় গড়াচ্ছে, একের পর এক খুলছে মামলার জট। হামলাকারীর মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে, নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি কেন সইফ আলি খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন? সেই কারণ কি তবে এবার বিস্তারিত জানা যাবে? ইতিমধ্যেই পুলিশি জেরায় হামলাকারী বিস্ফোরক কিছু কথা বলে ফেলেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশায় রয়েছে অভিযুক্তের পরিচয়। পুলিশের কাছে বয়ান দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তা অনেকটা বিভ্রান্তিকর। তাই এখনও পর্যন্ত মুম্বাই পুলিশের কাছে কিছুটা রহস্যময় সইফের হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শাহজাদ। তিনি ঠিক কী চেয়েছিলেন জানেন?
ঠিক কী হয়েছিল? (Saif Ali Khan)
গত ১৫ তারিখ গভীর রাত, তখন সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন। সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) বাড়িতে যান শরিফুল। অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে একের পর কোপ মারেন। প্রায় ৬ জায়গায় গুরুতর ভাবে জখম হন সইফ। হাসপাতালে তাঁকে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করতে হয়েছে। আরও মারাত্মক বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। সইফের উপর হামলার পর সেখান থেকে রীতিমত উধাও হয়ে যান শরিফুল। মুম্বাই পুলিশ তাকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে ধরেও ফেলে।
সইফের ছেলেকে অপহরণ করার পরিকল্পনা (Saif Ali Khan)
পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে শরিফুল জানিয়েছেন, তার লক্ষ্য ছিল, সইফের (Saif Ali Khan) ছোট ছেলে জেহকে অপহরণ করা। তারপর মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করতেন, প্রায় কোটি টাকা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। বাড়ির এক পরিচারিকা তাকে দেখতে পেয়ে যায়। অপরদিকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন সইফ। শরিফুল এমন পথে সইফের সদগুরু শরণ বিল্ডিংয়ে ঢুকেছিলেন, সেই পথ আগে থেকে না জানা থাকলে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে কি শারিফুল আগে থাকতেই সমস্ত পরিকল্পনা করেই গিয়েছিলেন? সে কথা এখনও জানা যায়নি। তবে সইফের বাড়ির পরিচারিকার বক্তব্য অনুযায়ী, সইফপুত্র জেহর ঘরের পাশেই একটা বাথরুম রয়েছে। সেখান থেকেই শরিফুল সইফের বাড়িতে ঢোকেন।
আরও পড়ুন: Fahim Mirza New Serial: ‘সুপারস্টার’ ফাহিমের বৈবাহিক জীবনে অশান্তি! হাবুডুবু খাচ্ছেন তিতিরের প্রেমে
হামলাকারী নাকি কলকাতার বাসিন্দা!
শরিফুল দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি কলকাতার বাসিন্দা। অথচ তার ফোন ঘেঁটে পাওয়া যায় বাংলাদেশ ফোন কলের রেকর্ড । ফোন নম্বরের মাধ্যমে শরিফুলের ভাইদের সঙ্গে মুম্বাই পুলিশ যোগাযোগ করে বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয় পত্র চেয়েছে। শরিফুল নাকি মেঘালয়ের ডাউকি নদী পেরিয়ে এসেছিলেন ভারতে। পশ্চিমবঙ্গে কয়েক সপ্তাহ থেকে আধার কার্ড বানানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি। অন্য আরেক ব্যক্তির আধার কার্ড ব্যবহার করে ভারতীয় সিম বার করেন। তারপর চলে যান মুম্বাইতে। এখনও পুরো বিষয়টা নিয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: Sourav Das Birthday: নিজের জন্মদিনে সুশান্তকে ভুললেন না সৌরভ! কেক কাটলেন প্রয়াত অভিনেতার নামে
সইফের আরোগ্য কামনায় অনুরাগীরা
অপরদিকে শোনা যাচ্ছে, সইফ খুব শীঘ্রই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন। তবে এখন তাঁকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে হবে। এই মুহূর্তে তিনি কাজে ফিরতে পারবেন না। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন অনুরাগীরা। এই ঘটনার আগে সইফ সাম্প্রতিক তেলেগু ছবি দেভারা-তে কাজ করছিলেন। যেখানে তিনি জুনিয়র এনটিআর এবং জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন।