ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রবিবার সাত জন্মের বন্ধনে (Sweta–Rubel Marriage Menu) আবদ্ধ হয়েছেন টলিপাড়ার অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য্য ও অভিনেতা রুবেল দাস। বিয়ের আসরে ঢুকেই ‘চোখ তুলে দেখো না কে এসেছে’ গানে নেচে মাতিয়েছিলেন রুবেল। বলিপাড়ার গানে আসর মাতিয়েছিলেন শ্বেতাও। কিন্তু নাচ-গান,আনন্দের পাশাপাশি খাবার মেন্যুতে ছিল কী কী?
বিয়ের আসর (Sweta-Rubel Marriage Menu)
টলিপাড়ার চর্চিত জুটি শ্বেতা ভট্টাচার্য্য ও রুবেল দাস (Sweta-Rubel Marriage Menu) সাতপাকে বাঁধা পড়লেন ১৯ জানুয়ারি, রবিবার। দমদমে অনুষ্ঠিত বিয়েতে ছিল জমকালো আয়োজন। শ্বেতা ও রুবেল বৈদিক রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেছেন। তাই সাধারণ বাঙালি বিয়ের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন ছিল এই অনুষ্ঠান। এদিন শ্বেতার সিঁথিতে সিঁদুর দানের পর রুবেলের কপালেও সিঁদুর ছোঁয়ান অভিনেত্রী।
বিয়ের সাজ (Sweta-Rubel Marriage Menu)
এদিন অভিনেতা রুবেল সেজেছিলেন অফ হোয়াইট রঙের সোনালী জরির কাজ করা (Sweta-Rubel Marriage Menu) পাঞ্জাবীতে। গালে ছিল স্টাইলড দাড়ি, কপালে খড়িমাটির ফোঁটা। শ্বেতার পরনে ছিল গাঢ় মেরুণ রঙের বেনারসী। মাথায় মুকুট, সোনার গয়না, কপালে কলকা, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক পরে সাবেকি বাঙালি কনের সাজেই সেজেছিলেন অভিনেত্রী। সিঁদুরদানের সঙ্গে সঙ্গেই আবেগে চোখে জল এসে যায় তার। বরাবরের মত ভীষণ সুন্দর ও স্নিগ্ধ দেখাচ্ছিল তাকে।
বিয়ের মেন্যু
বিয়ের বিয়ের (Sweta-Rubel Marriage Menu) মেনু ছিল বেশ আভিজাত্যপূর্ণ। স্টার্টারে ছিল ভেজ, ননভেজের নানা পদ, স্যালাড, মাছ ও মাংসের বৈচিত্র্যময় আয়োজন। মূল মেনুতে ছিল কুলচা, চানা, ফিশফ্রাই, পোলাও, সাদা ভাত, পাঁঠার মাংস, মুরগির মাংস, কালাকাঁদ, নতুন গুড়ের রসগোল্লা ও আরও নানা ধরনের মিষ্টি। মোটমাট বাঙালি খাবার দাবারের কথা মাথায় রেখেই খাবারের আয়োজন করেছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: Sweta-Rubel Marriage: বিয়ের পিঁড়িতে শ্বেতা-রুবেল, আমন্ত্রিত কারা?
নিমন্ত্রিত অতিথি
বিয়েতে হাজির ছিলেন ‘প্রজাপতি’ ছবির পরিচালক অভিজিৎ সেন, তবে শ্বেতার পর্দার নায়ক দেবের দেখা মেলেনি। তবে অভিনেত্রীর ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকের পরিবার উপস্থিত ছিল। অন্যদিকে বাড়ির সকলে ও আত্মীয়-স্বজন তো ছিলেনই।
মধুচন্দ্রিমায় যাচ্ছেন কবে?
অভিনেত্রী জানিয়েছেন শুটিং-এর চাপ এতটাই যে বিয়ের জন্য মাত্র ৫ দিন ছুটি পেয়েছেন। রুবেলের ধারাবাহিক তো সাত দিনই হয়, তাই অভিনেতার আরও চাপ। মধুচন্দ্রিমায় এখন যাওয়া হবে না। তাই এই মুহূর্তে নবদম্পতি শুধু বাড়িতেই নিভৃতে সময় কাটাবেন দিনশেষে।
ব্যস্ততার কারণেই প্রাক-বিয়ের কোনও আয়োজনও ছিল না তেমন। বিয়ের আগের দিন মেহেন্দি পরেন শ্বেতা, এবং অল্প বিস্তর নাচ-গানও হয়েছিল সেদিন।