ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজ, বুধবার বিধানসভায় ২০২৫–২৬ অর্থ বছরের রাজ্য (West Bengal Budget) বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মনে করা হচ্ছে রাজ্যের যে প্রকল্পগুলি রয়েছে, সেই খাতেই বরাদ্দ বাড়াবার কথা মাথায় রেখেই পেশ করা হতে পারে আজকের এই বাজেট। বিধানসভা ভোটের আগে সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট হল এটাই। জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে, জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির কথাই ভাবছে রাজ্য সরকার, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আজ বেলা চারটে নাগাদ রাজ্যের বিশেষ ক্যাবিনেটে এই বাজেট পেশ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আজ বিধানসভায় বাজেট পাঠ করবেন অর্থ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
লাইভ আপডেট (West Bengal Budget)
দুপুর ১২.১০: গতকালই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (West Bengal Budget) পশ্চিমবঙ্গের বাজেট ব্যবস্থার দিকে ছুঁড়েছেন কটাক্ষের তীর। তিনি স্পষ্ট বলেছেন যে কেন্দ্র রাজ্যের খাতে যথেষ্ট অর্থ প্রদান করে। কিন্তু তৃণমূলের অন্দরের দুর্নীতির কারণেই, উন্নয়ন হয় না বাংলায়। এই বিষয় সম্পর্কে, তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বলেছেন, “অর্থমন্ত্রী মিথ্যের উপর ভিত্তি করে অরাজনৈতিক বিবৃতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে MNREGA-তে প্রচুর দুর্নীতি আছে। এর সপক্ষে আমরা প্রমাণ চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কোনও প্রমাণ দেননি। ওই বিবৃতিটি শুধুমাত্র ওনার মিথ্যে মতামত ছিল। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যে পশ্চিমবঙ্গ সঠিক পথেই রয়েছে।”

দুপুর ১২.২০: রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন (West Bengal Budget) পরিকাঠামো তৈরিতে জোর দিচ্ছে সরকার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই বরাদ্দ নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে। ২০২২–২৩ সালের তুলনায় ২০২৩–২৪ অর্থবছরে রাজ্যের নিজস্ব কর সংগ্রহ কমে গেছে, যা একটি উদ্বেগের বিষয়। এসজিএসটি ও আবগারি খাতে আদায় কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও অন্যান্য খাতে এই সংগ্রহে হ্রাস ঘটছে। এই প্রবণতা আগামী ২০২৪–২৫ অর্থবছরেও অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, রাজ্য সরকারকে আরও কার্যকরী পরিকল্পনা নিতে হবে, যাতে উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা যায়। বাজেটে সঠিক ও যথাযথ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হলে তবেই রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হবে। সুতরাং, সরকার ও অর্থমন্ত্রীর সামনে এখন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: West Bengal Budget 2025: ২৬-এর ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ, কোন খাতে কত বরাদ্দ?
বিকেল ৪.১২: ছাব্বিশের বিধানসভা (West Bengal Budget) ভোটের আগে ৪% ডিএ বাড়তে চলেছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের। রাজ্য বাজেটে এই প্রস্তাব রাখলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য। ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে কার্যকর হতে চলেছে এই প্রস্তাব। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের DA-এর ফারাক এখনও ৩৫%। রাজ্যের সরকারি কর্মীরা, আধা সরকারি কর্মীরা এবার থেকে ১৮% DA পাবেন।
বিকেল ৪.১২: গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত খাতে বরাদ্দ করা (West Bengal Budget) হয়েছে ৪৪ হাজার কোটি টাকা।
বিকেল ৪.১৩: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।
বিকেল ৪.১৪: বিদ্যালয় শিক্ষায় (West Bengal Budget) বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১ হাজার কোটি টাকা।
বিকেল ৪.১৪: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ২১ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা।
বিকেল ৪.১৪: ৭০ হাজার আশা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল দিতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।

বিকেল ৪.১৫: রাজ্য বাজেটে নদী ভাঙনে বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা।
বিকেল ৪.১৫: নদী বন্ধন নামে নতুন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা।
বিকেল ৪.১৯: পথশ্রী প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হল ১৫০০০ কোটি টাকা।
বিকেল ৪.২২: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ রইল অপরিবর্তিত।

বিকেল ৪.২৫: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে অতিরিক্ত ১৬ লক্ষ উপভোক্তার জন্য বরাদ্দ করা হল ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে এবার ২৮ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পে।
বিকেল ৪.২৬: তৈরী করা হবে ৩৫০ টি সুফল বাংলা স্টল, বরাদ্দ করা হল ২০০ কোটি টাকা।
বিকেল ৪.২৯: গঙ্গাসাগর সেতুর জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।

বিকেল ৪.৩১: ৩৭ হাজার কিমি গ্রামীণ রাস্তা, বরাদ্দ করা হল দেড় হাজার কোটি টাকা।
বিকেল ৪.৩৮: চা শিল্পে এগ্রিকালচারাল ইনকাম ট্যাক্স ছাড় প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানো হল। অর্থাৎ সময়সীমা বেড়ে দাঁড়ালো ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
বিকেল ৪.৩৯: ধান কেনার জন্য নতুন কেন্দ্র তৈরী করা হবে। তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
বিকেল ৪.৪৮: ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ ৩,৮৯,১৯৪,০৯ কোটি টাকা।
বিকেল ৪.৫৩: বাজেট অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে এলেন বিরোধীরা। বাজেট থেকে বেরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “বেকার-বিরোধী বাজেট এটা। মহিলাদের জন্য একটি শব্দও রাখা হয়নি। কৃষিক্ষেত্রেও নতুন কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকার দেউলিয়া, ছত্রে ছত্রে প্রমাণিত এটা। আরজি করের ঘটনা সম্পর্কে, নারী সুরক্ষার বিষয়ে একটি কথাও নেই এই বাজেটে। স্মৃতি ইরানি তিন বছর আগে আইসিডিএস কর্মীদের মোবাইল দেবার এই প্রকল্পটির কথা বলেছিলেন। রাজ্য সরকার এতদিন ধরে সেই টাকা জমিয়ে সুদ খেয়ে আজ এই কথা বলছে।”
বিকেল ৫.০৫: বাজেট পেশ করার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ রাস্তার কাজ বন্ধ, আবাসনের কাজও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা ২৮ লক্ষ পরিবারকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমরা যা বলি আমরা তাই করি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ। ভোট এলে এরকম কথা বলে কেন্দ্রীয় সরকার। সব কর তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র, আমরা কিছু পাই না।”