ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ১৪ ফেব্রুয়ারি মানে ভ্যালেন্টাইন্স ডে (Babu Shona Film Review) অর্থাৎ প্রেমের দিন। এই প্রেম দিবসেই মুক্তি পেয়েছে অংশুমান প্রত্যুষ পরিচালিত এবং অশোক ধনুকা ও হিমাংশু ধনুকা নিবেদিত ছবি ‘বাবুসোনা’। নামের মধ্যেই যেন যেন একটা প্রেম প্রেম ভাব রয়েছে তাই না? প্রেম দিবসে এই ছবি হল কেমন?
‘বাবুসোনা’-র মাখো মাখো প্রেম (Babu Shona Film Review)
শুধুই প্রেম নয় এই সিনেমায় আছে ভরপুর অ্যাকশন (Babu Shona Film Review) ও কমেডি। বাবুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা জিতু কামাল এবং সোনার ভূমিকায় দেখা মিলেছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের। এই প্রথমবার বড়পর্দায় জুটি বাঁধলেন জিতু-শ্রাবন্তী। এই সিনেমার গল্পে কিডন্যাপার বাবু এবং চোর সোনার রসায়ন জমে ক্ষীর। গল্প যতই এগোচ্ছে বাবু-সোনার প্রেম ততই গাঢ় হচ্ছে। দুজনের জীবন বারে বারে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন ঘটনায়। শেষে লণ্ডনের মাটিতে কিডন্যাপার জিতু আর পেশায় চোর শ্রাবন্তী বাঁধা পড়েন প্রেমের সম্পর্কে।
অন্যান্য ভূমিকায় কারা? (Babu Shona Film Review)
এই ছবিতে তিতাসের ভূমিকায় অভিনয় (Babu Shona Film Review) করেছেন, অভিনেত্রী পায়েল সরকার আর তিতাসের স্বামী অশ্রুনুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়। আর তিতাস ও অশ্রুনুর দুস্টু ছেলের ভূমিকায় রয়েছে বিলাস দে। পুলিশের ভূমিকায় আলেকজান্দ্রা টেলর এবং বাকি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছেন অত্রি ভট্টাচার্য ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: Jeetu -Srabanti: দৌড়ে গিয়ে শ্রাবন্তীকে জড়িয়ে ধরলেন জিতু, ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে সত্যি হল প্রেম!
কেমন গল্প বুনলেন পরিচালক?
যাদের নিয়ে এই ছবি সেই জিতু এবং শ্রাবন্তী কিন্তু নিজেদের চরিত্রে যথেষ্ট সাবলীল। শ্রাবন্তীর কার্লি হেয়ার আর গ্ল্যামারাস লুক মন কেড়েছে দর্শকদের। ছবির সংলাপও মজার। কিন্তু কমার্শিয়াল ছবিতে সবকিছু লজিক দিয়ে দেখলে বেশকিছু বিষয় মিলবে না। সিনেমার প্রথম দৃশ্যতে সিনেমার নায়ক অর্থাৎ জিতু থুড়ি বাবু এসে এক সাংবাদিকের ছেলেকে কিডন্যাপ করে। বাবু আসলে কিন্তু কলকাতায় আইটি কোম্পানির আড়ালে এই কিডন্যাপিং-এর ব্যবসা চালায়। কিন্তু তাঁর কিডন্যাপের ধরণটা বেশখানিক আলাদা। সিনেমা না দেখলে সেটা বোঝা কঠিন। ঠিক তখনই এন্ট্রি নেয় সোনা। সোনা আসলে পেশায় চোর, কিন্তু পুলিশের ভেক ধরেই টাকা চাইতে আসে বাবুর কাছে। তখনই সোনাকে দেখে ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’ হয় বাবুর।
কিডন্যাপার ‘জিতু, চোর ‘শ্রাবন্তী’!
এরপর পর্দায় দেখা মেলে তিতাসের। অশ্রুনু আর তিতাস আসলে স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু তারা নিজেদের দাম্পত্য জীবনে একদমই খুশি নয়। তারা ডিভোর্স চায়। এরপরই কিডন্যাপের এক ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ আসে বাবুর অফিসে। আর এর ফলেই আরও কাছাকাছি চলে আসে বাবু ও সোনা।
পুরোপুরি কমার্শিয়াল ছবি
যাদের নিয়ে এই ছবি সেই জিতু এবং শ্রাবন্তী কিন্তু নিজেদের চরিত্রে যথেষ্ট সাবলীল। শ্রাবন্তীর কার্লি হেয়ার আর গ্ল্যামারাস লুক মন কেড়েছে দর্শকদের। ছবির সংলাপও মজার। দুষ্টু বাচ্চার চরিত্রেও ভালো অভিনয় করেছে বিলাস। কিন্তু কমার্শিয়াল ছবিতে সবকিছু লজিক দিয়ে দেখলে অনেক বিষয় মিলবে না। এই সিনেমার ‘ও ম্যাডাম’ আর ‘হাওয়া হাওয়া’ গান দুটো কিন্তু বেশ লেগেছে।
পাঁচে পাঁচ দেওয়া যায় নাকি?
কিডন্যাপিং এর এই ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ করতে গিয়েই আরও বিপদে পড়ে যায় ‘বাবুসোনা’। কীসের বিপদ? সেই বিপদ থেকে কি নিজেদের উদ্ধার করতে পারবে তারা? কিন্তু একটা হিন্ট তো দেওয়াই যায়। এই বিপদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে দারুণ এক চমক। বিপদের মাঝে ক্লাইম্যাক্স কিন্তু একেবারে টানটান। জানতে হলে তো পুরো সিনেমাটা দেখতেই হবে। কিছু কিছু দৃশ্যে কেন, কোথায় এসব প্রশ্নের উত্তর না খুঁজে, মন খুলে হাসতে পারেন। সিনেমাটোগ্রাফির ক্ষেত্রে নজর দিলে সিনেমার পটভূমি আরও টানটান হতে পারতো। গল্পের ক্ষেত্রেও কিছু জায়গায় বাঁধন হয়েছে আলগা। এই গল্পটাকেই আরও ভালো করে সাজানো যেত। তাই ট্রাইব টিভি এই সিনেমাকে পাঁচে দিল তিন। কিন্তু, যদি মন খুলে হাসতে চান, নির্ভেজাল ভাবে অ্যাকশন, কমেডি, প্রেমে একসঙ্গে ডুবে থাকতে চান, টানটান সিনেমার ক্লাইম্যাক্স দেখতে দেখতে অবাক হতে চান, তবে অবশ্যই বসন্তের এক সন্ধ্যায় দেখে আসতে পারেন ‘বাবুসোনা’।