ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য (Abhijeet Bhattacharya Controversy) বেশ সমালোচিত হচ্ছেন গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্যের কারণে সমাজ মাধ্যমে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শাহরুখ খান, সলমন খান, নেহা কক্কর সহ অনেক বলিউড তারকা ও গায়িকাকে তিনি প্রায়ই কটাক্ষ করেন। তবে এই মুহূর্তে তিনি সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন তাঁর একটি মন্তব্যের জন্য, যেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
কী বলেছেন গায়ক? (Abhijeet Bhattacharya Controversy)
অভিজিৎ ভট্টাচার্য সম্প্রতি (Abhijeet Bhattacharya Controversy) এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, “গান্ধী ভারতের জাতির জনক নন, তিনি আসলে পাকিস্তানের জনক।” তাঁর এই মন্তব্যের পরই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। পুণের সমাজকর্মী মণীশ দেশপাণ্ডে এই মন্তব্যের (Abhijeet Bhattacharya Controversy)বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, অভিজিৎ মহাত্মা গান্ধীকে অপমান করেছেন এবং সমাজে অশান্তি সৃষ্টির জন্য তিনিই দায়ী। মণীশ দেশপাণ্ডে ডেকান-জিমখানা থানায় অভিযোগ জানানোর কথা জানিয়েছেন। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাদের কাছে এখনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পৌঁছায়নি।
যুক্তির সপক্ষে অকপট অভিজিৎ (Abhijeet Bhattacharya Controversy)
অভিজিৎ ভট্টাচার্য তাঁর মন্তব্যের (Abhijeet Bhattacharya Controversy) সপক্ষে যুক্তি হিসেবে বলেন, “ভারত পৃথিবীর মানচিত্রে সবসময়ই ছিল, কিন্তু পাকিস্তান ভুলভাবে তৈরি হয়েছে।” তাঁর মতে, এই বিভাজনের জন্য মহাত্মা গান্ধীই দায়ী। তিনি গান্ধীকে পাকিস্তানের ‘জাতির জনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, কারণ ভারত আগে ছিল এবং পরে পাকিস্তান আলাদা হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Bhaskar Banerjee: পুরুষ কি মা হতে পারবে? সংসারটা রসাতলে যাচ্ছে! এ কি বললেন ভাস্কর ব্যানার্জি?
বিতর্ক ছিল আগেও
অভিজিতের এই মন্তব্য একপ্রকার নতুন নয়। এর আগে তিনি গান্ধীকে নিয়ে আরও এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “যেভাবে মহাত্মা গান্ধী জাতির জনক, তেমনি সঙ্গীতের জগতে আরডি বর্মন জাতির জনক।” এই ধরনের বক্তব্যের কারণে একাধিকবার বিতর্কে পড়েছেন তিনি।
সমাজ মাধ্যমে এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের মতে, অভিজিৎ ভট্টাচার্যের এই ধরনের মন্তব্য শুধু সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে, বরং জাতীয় ঐক্য এবং ইতিহাসের প্রতি অজ্ঞতা ও অসম্মান প্রদর্শন করে। যদিও তিনি নিজে মনে করেন, তার করা মন্তব্য কোনও অপরাধ নয়, কিন্তু বৃহত্তর সমাজে এর প্রভাব যে নেতিবাচক হতে পারে, তা একপ্রকার স্পষ্ট। এখন দেখার বিষয়, অভিজিতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, এবং তাঁর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে আদৌ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কি না।