Last Updated on [modified_date_only] by Sumana Bera
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্টে (Calcutta high Court) ধাক্কা প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir ranjan Chowdhury)। বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদকে মামলা প্রত্যাহার করতে বললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে তৈরি হওয়া সংঘাতকে সামনে রেখে গত সেপ্টেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta high Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir ranjan Chowdhury)। বৃহস্পতিবার সেই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন এবং মামলা প্রত্যাহার করতে বললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: Afsar Ali Khan: জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ আফসার আলি খান, শুক্রবার শুনানির সম্ভাবনা
শুনানিতে অধীর চৌধুরীর (Adhir ranjan Chowdhury) আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সংবাদপত্রের দুটি রিপোর্ট তুলে ধরে মামলা করা যায় না। এর জন্য আপনাকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সেগুলো কোথায়? কত জল সংরক্ষণ করা হয়? কী পদ্ধতি মেনে জল ছাড়া হয়? কখন ডিভিসির জল ছাড়া হয়- সেই সমস্ত তথ্য কোথায়? এর আগেও আপনি একাধিক জনস্বার্থ মামলা করেছেন। সেগুলো আমরা গ্ৰহণ করেছি ও শুনেছি এবং নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু, এই মামলার গ্রহণ যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। আপনি চার বারের সাংসদ ছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। তাই তিনি খুব ভালো করেই জানেন কীভাবে কাজ হয়, কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। তার জন্য তাঁর হাইকোর্টের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন নেই।’
উল্লেখ্য, ডিভিসির (DVC) জল ছাড়া এবং রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিভিসির মধ্যে সংঘাত নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir ranjan Chowdhury)। অধীর চৌধুরীর দাবি, ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর দফতর, কে সত্য বলছে, তা তিনি জানতে চান। রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতর জন্য প্রথম থেকে ডিভিসি’র জল ছাড়াকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
অধীরের অভিযোগ, রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ে ডিভিসি। রাজ্যের আপত্তি শোনা হয় না। আবার প্রকাশ্যে আসা একটি নথিতে দেখা গিয়েছে, ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যে দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দেন, তার তিন দিন আগেই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আটটি জেলাকে সতর্ক করেছিল নবান্ন। অর্থাৎ, ডিভিসি যে জল ছাড়তে পারে, সেই সংক্রান্ত সতর্কতা ছিল নবান্নের কাছে। এখানেই অধীর প্রশ্ন তোলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) না তাঁর দফতর, কে সঠিক কথা বলছে? সেই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন অধীর চৌধুরী। আজ সেই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা প্রত্যাহার করতে বললেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
