ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শীতের সকালে আচমকা ভয়াবহ ভূমিকম্প(Earthquake Alerts)। মঙ্গলবার সকালে তীব্র ভূমিকম্প হয় নেপালের(Nepal)তিব্বতে(Earthquake In Tibet)। প্রথম কম্পনটি হয় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.১। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফের কেঁপে ওঠে শিজাং। পর পর কম্পন অনুভূত হয়েছে একই অঞ্চলে। দ্বিতীয় কম্পনটি হয় সকাল ৭টা ২মিনিটে। তীব্রতা ছিল ৪.৭। এর পাঁচ মিনিট পরে আবার তৃতীয় কম্পন, সকাল ৭টা ৭মিনিটে। তৃতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৯। প্রথম দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে মাটি থেকে ১০কিলোমিটার গভীরে। তৃতীয়টি ৩০ কিলোমিটার গভীরে।
কম্পন অনুভূত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে(Earthquake In Tibet)
সাধারণত কোথাও ভূমিকম্প হলে, তার পরের কিছু ক্ষণ ধরে আফটারশক দেখা যায়। মঙ্গলবার সকালে নেপাল-তিব্বত(Earthquake In Tibet) সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই ভূমিকম্পের জেরে রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে বিহার এবং ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে টের পাওয়া গিয়েছে কম্পন। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের কিছু অঞ্চলেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। অন্যদিক, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুরের মানুষ এদিন কম্পন অনুভব করতে পারেন। পাশাপাশি সিকিম, অসমের কিছু অঞ্চলেও ভূমিকম্প টের পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Gal Gadot: বন্দি মুক্তির দাবিতে মুখ খুললেন হলিউডের ইজরায়েলি অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাডোট
ভুটান, চিনের কিছু অঞ্চলেও অনুভূত কম্পন(Earthquake In Tibet)
ভূমিকম্পের(Earthquake In Tibet)যে তীব্রতা ছিল, তাতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও রয়ে গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বিহারের পটনা-সহ বেশ কিছু অঞ্চলে কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে বিহারের উত্তর দিকে নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কম্পন বেশি মাত্রায় অনুভূত হয়েছে। পাশাপাশি ভুটান এবং চিনের কিছু অঞ্চলেও কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে।
নেপালে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, নেপালের লোবুচে থেকে ৯৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এই কম্পনের উৎসস্থল। গভীরতা ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের জেরে নেপালে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিরল ১০ বছরের ভয়ঙ্কর স্মৃতি
উৎসস্থলে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভূমিকম্পে প্রবল ক্ষতির অভিজ্ঞতা সদ্য কাটিয়ে উঠেছে নেপাল। ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৫ সালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সে দেশের একটা বড় অংশ। কয়েক মিনিটের সেই কম্পনে প্রায় ৯,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন। সেই সময়েই কলকাতা সহ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অনুভূত হয়েছিল কম্পন।