ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রায় দেড় বছর আগে এক যুবতীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয়েছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহর। হয়েছিল অনেক রাজনীতিও। কিন্তু কেউ ভাবেনি পরিবারটির অসহায়তার কথা। রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) উদ্যোগে মৃতার মায়ের জন্য সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হাতে নিয়োগপত্র পেলেন মৃতার মা।
সময়টা ২০২৩ সাল, ২১ এপ্রিলের সকাল। কালিয়াগঞ্জ থানার পালইবাড়ি গ্রামে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় এক যুবতীর দেহ। মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙ্গুয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে কালিয়াগঞ্জ শহরজুড়ে। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলে কালিয়াগঞ্জ-দুর্গাপুর রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। দোষীর গ্রেফতারির দাবিতে উঠতে থাকে স্লোগান। কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/west-midnapur-news-people-facing-problem-due-to-bridge/
পুলিশ অবরোধ হটাতে গেলে তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা ইটবৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। জনতা-পুলিশে খণ্ডযুদ্ধে উত্তেজনা ছড়ায় কালিয়াগঞ্জ শহরজুড়ে। বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্বরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে সরব হন। সেই মামলা আজও বিচারাধীন। কিন্তু কেউই ভাবেনি কী ভাবে চলবে মৃতার পরিবারের জীবন-জীবিকা। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে অথৈ জলে পড়েছিলেন মৃতার পরিবার।
একদিকে মেয়েকে হারানোর শোক, অন্যদিকে সংসার চালানোর চিন্তা, দুইয়ের চাপে কার্যত মানসিকভাবে বিধস্ত হয়ে পড়েছিলেন মৃতার মা। সেই অসহায় মহিলার পাশে দাঁড়ালেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। মহিলার জন্য একটা সরকারি চাকরির আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani) । অবশেষে মৃতার মায়ের জন্য ভূমি দফতরে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/tmc-news-at-bahngar-areas-saukat-molla-comments-about/
মঙ্গলবার বিধায়ক কার্যালয়ে মৃতার মায়ের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী স্বয়ং। নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়ককে (Krishna Kalyani) ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/chargesheet-making-process-was-delay-kalighater-kaku/
পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেও পাশে থাকেননি কেউই। কিভাবে চলবে জীবন-জীবিকা ? জল্পনায় ভুগছিল অসহায় পরিবারটি। সেই জল্পনার অবসান ঘটলো বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর হাত ধরে। বরাবরের মতো এবারেও অসহায় পরিবারের পাশে ত্রাতার ভূমিকায় দেখা গেলো কৃষ্ণ কল্যাণীকে (Krishna Kalyani) । বিধায়কের সহযোগিতায় নতুন করে আশার আলো দেখছে পরিবারটি।