১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?

২০১১ সালের ভয়ঙ্কর স্মৃতি ফিরলো জাপানবাসীদের

১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?
১৫৫টি কম্পন আর সুনামি, জাপানের কী অবস্থা?

ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৬ এবং সুনামির জেরে কার্যত লন্ডভন্ড মধ্য জাপান। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সে দেশ থেকে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপ সরালে হতাহতের সংখ্যা ‘অসংখ্য’ হতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা। তিনি জানিয়েছেন, “ভীষণ ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়েছেন। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে।”

জাপানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মৃদু এবং মাঝারি মাত্রার কম্পনে ১৫৫ বার কেঁপে উঠেছে জাপান। শহরগুলির মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং হতাহতের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে ওয়াজিমা।

ক্ষতির পরিমাণে তারপরে রয়েছে নোটো উপদ্বীপ। ভূমিকম্পের পরেই সেখানের একাধিক বহুতলে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগে ওয়াজিমার কয়েকটি আবাসনেও। এখনও সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি বলে সূত্রের খবর। নোটো উপদ্বীপের উপকূল ভাগে এখনও উল্টেপাল্টে পড়ে রয়েছে মাছ ধরার নৌকাগুলো। কত জন মারা গিয়েছেন, কত জন ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভাঙা রাস্তাঘাট এবং ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশের উত্তর প্রান্তের নোটো উপদ্বীপে পৌঁছতে পারেনি উদ্ধারকারী দল এবং সেনা।

মঙ্গলবার ভোরে জরুরি বৈঠকে বসে দ্রুত উদ্ধারকাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশিদা। তিনি জানিয়েছেন, “সময়ের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে।” উদ্ধারকাজ দ্রুত শেষ করা হলে বেশ কয়েকজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ এই কম্পনেই প্রথম কেঁপে ওঠে জাপান। ভূমিকম্পের পরেই জাপানের বেশ কয়েকটি উপকূল এলাকায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। সুনামির আশঙ্কা বাস্তবায়িত হয়ে জাপানের পশ্চিম উপকূল সংলগ্ন একাধিক শহরে ফুঁসে ওঠে সমুদ্র। কোথাও কোথাও ঢেউয়ের উচ্চতা চার ফুট পর্যন্ত উঠে যায়। ভূমিকম্পের পর এখনও পর্যন্ত জাপানের প্রায় ৩৩ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানো যায়নি। ভাঙা রাস্তা ধরে এগোতে গিয়ে বার বার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারী দল এবং সেনাকেও। 

জাপানের প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে , এখনও পর্যন্ত অন্তত এক হাজার মানুষকে সেনা শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেশের পশ্চিম উপকূলে এখনও ফুঁসছে সমুদ্র। তাই উপকূল অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষজনকে এখনই বাড়ি ফিরতে বারণ করা হয়েছে। ভূমিকম্পের সময় তোলা একাধিক ভয়াবহ ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কোনও ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে স্টেশনের বিলবোর্ড দুলছে, আবার কোথায় দেখা যাচ্ছে, কোলের একরত্তিকে নিয়ে দৌড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মা।

এই ভূমিকম্প অনেককেই ২০১১ সালের ভয়ঙ্কর স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ওই ভূমিকম্প এবং সুনামিতে ১৮ হাজার ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। জলে ভেসেছিল ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের একাংশ। ফলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। মনে করা হয়, ওই ঘটনা ছিল বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্যোগ। তবে মধ্য জাপানের ইশিকাওয়াতে অবস্থিত শিকা পারমাণবিক কেন্দ্রে এখনও পর্যন্ত কোনও কোনও অস্বাভাবিকতা নজরে আসেনি বলে জানিয়েছে জাপানের পারমাণবিক সংস্থা।