CBI Raid: শাহ ফিরতেই স্বমহিমায় CBI, পার্থ ঘনিষ্ঠ বাপ্পাদিত্যের বাড়িতে গোয়েন্দা হানা

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির রেডারে ছিল বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের নাম। একাধিকবার তদন্তে তার নাম উঠে এসেছে বারেবারে (Recruitment Scam)। জানুন বিস্তারিত...

CBI Raid:  শাহ ফিরতেই স্বমহিমায় CBI,  পার্থ ঘনিষ্ঠ বাপ্পাদিত্যের বাড়িতে গোয়েন্দা হানা
বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সদ্য শেষ হয়েছে উৎসবের মরশুম। গতকালই ছিল শাহের বঙ্গ সফর (29 NOV 2023)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিল্লি ফেরার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতে ফের অ্যাকশন মোডে CBI। লক্ষ্মীবারে রাজ্যজুড়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ মোট সাত জায়গায় শুরু সিবিআই তল্লাশি অভিযান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রেডারে রয়েছেন বিধায়ক থেকে শুরু করে শাসক দলের কাউন্সিলর। রয়েছে জেলবন্দি পার্থ, মানিক ও কুন্তল ঘোষ ঘনিষ্ঠ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। CBI রেডারে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ কলকাতা পুরসভার মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত (Bappaditya Dashgupta)। 

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৪২ নাগাদ পার্থ ঘনিষ্ঠ বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা (CBI Raid)। কলকাতা পুরসভার মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে পৌঁছনোর পর প্রায় ১৮ মিনিট ধরে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। সেই সময় একজন সিবিআই আধিকারিক পাশের বাড়ির ছাদে উঠে চারপাশ দেখতে থাকেন। জানা গিয়েছে, কিছুক্ষণ পরই বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত নিজে এসে গোয়েন্দাদের দরজা খুলে দেন। এরপর সরাসরি তাঁকে নিয়ে দোতলায় উঠে যান আধিকারিকরা।  

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির রেডারে ছিল বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের নাম। একাধিকবার তদন্তে তার নাম উঠে এসেছে বারেবারে (Recruitment Scam)। একাধিক অযোগ্য চাকরি প্রার্থীরা বয়ান অনুযায়ী, বাপ্পাদিত্যর বাড়িতে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি এবং বিধাননগর পৌরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর (Debraj Chakraborty) বাড়িতে পৌরসভার নিয়োগ দুর্নীতির কাগজপত্র রয়েছে। ED-র তরফে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই বিষয়টি জানানো হয়। এর কিছুদিন পরই গ্রেফতার হয় প্রভাবশালী অয়ন শীল ও কুন্তল ঘোষ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন, তার মত অনেককে যারা পৌরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি এবং শিক্ষার নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে এরা 'কমন' এজেন্ট। এদের মাধ্যমে এই দুই নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। অর্থাৎ এই দুই দুর্নীতিরই একসঙ্গে তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তারপরই কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত যে এস আই টি করছিল তাদেরকেই পৌরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত তদন্ত দু মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। 

এদিকে, গতকাল প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijeet Ganguly) এজলাসে তদন্তের ৫০ এর অধিক পাতার রিপোর্ট জমা দেয় CBI। সূত্রের খবর , সেই রিপোর্টে যাদের নাম রয়েছে তাদের বাড়িতেই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বাপ্পাদিত্যর সঙ্গে এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা কাদের কাদের যোগাযোগ ছিল, তার কি রোল ছিল সেই নিয়ে তদন্ত চলছিল আগেই। সেই তদন্তের ভিত্তিতে একাধিক ব্যক্তির বয়ান উঠে এসেছে। তার ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এখন দেখার দুই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের জল কতদূর গড়ায়!