সারদা মায়ের জন্মতিথি উপলক্ষে জয়রামবাটিতে উৎসবের মেজাজ

শ্রীশ্রী সারদামায়ের জন্মতিথি উপলক্ষে এদিন সকাল থেকে জয়রামবাটিতে এখন উৎসবের মেজাজ।

সারদা মায়ের জন্মতিথি উপলক্ষে জয়রামবাটিতে উৎসবের মেজাজ

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: পরম ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে বৃহস্পতিবার জগজ্জননী শ্রী শ্রী সারদা মায়ের ১৭০ তম জন্মতিথি উৎসব পালিত হল বাঁকুড়ার জয়রামবাটি 'মাতৃ মন্দিরে'। সারদা দেবীর ১৭০ তম জন্মতিথি পালন উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জনসমাগম জয়রামবাটি মাতৃ মন্দিরে। 

আজ সারদা মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে ভক্তদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে খুলে দেওয়া হল জয়রামবাটি মাতৃ মন্দিরের প্রধান দরজা। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও নিয়ম মেনেই ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকছে মাতৃ মন্দিরের গেট। মাতৃ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ থাকবে প্রবেশের দরজা। এদিন ভোর থেকে মাতৃ মন্দিরে মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে বিশেষ এই দিনটি পালন শুরু হয়। পরে ঠাকুর, শ্রী শ্রী মা ও স্বামীজির ছবি নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। একই সঙ্গে সারা দিন ব্যাপি হয় নানান অনুষ্ঠান।

প্রসঙ্গত, ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পৌষ মাসের কৃষ্ণা সপ্তমী তিথিতে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম জয়রামবাটির এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ ধর্মপরায়ণ পরিবারে সারদা দেবীর জন্ম। তাঁর বাবা রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও মায়ের নাম শ্যামাসুন্দরী দেবী। তাঁদের পরিবার বংশানুক্রমে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের উপাসক ছিলেন। সারদা দেবী ছিলেন তাঁদের প্রথম সন্তান। পরে পার্শ্ববর্তী হুগলির কামারপুকুর গ্রামের গদাধরের (শ্রীরামকৃষ্ণ) সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

শ্রীশ্রী সারদামায়ের জন্মতিথি উপলক্ষে এদিন সকাল থেকে জয়রামবাটিতে এখন উৎসবের মেজাজ। জেলা ও রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য পূণ্যার্থী হাজির হয়েছেন মাতৃ মন্দিরে। ফুল, মালা আর আলপনা দিয়ে সাজানো হয়েছে 'মায়ের বাড়ি'। সব মিলিয়ে ভক্তি, শ্রদ্ধা আর উৎসবের মেজাজে এদিনের এই বিশেষ দিনটি শুরু হয়েছে এখানে। তবে এই বছর কোভিডের সংক্রমণ না থাকায় মাতৃ মন্দিরের তরফে সারদা মায়ের ১৭০ তম জন্মতিথিতে বিশেষ ভোগ বিতরণ করা হবে আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মধ্যে।

প্রত্যেক বছরের মতো এই বৎসরেও ভোর থেকেই সারদা মায়ের মন্দিরে মঙ্গলারতির মাধ্যমে পুজো শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় ধরে চলবে বেদপাঠ , মায়ের কথা পাঠ , ভক্তিগীতি,সহ নানান কর্মসূচি। তারপর নির্দিষ্ট সময়ে সারদা মায়ের মন্দিরে সন্ধ্যারতি করে এদিনের পুজো সম্পন্ন হবে। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও দর্শনার্থীরা মাতৃ মন্দিরে প্রবেশাধিকারের সুযোগ পাবেন, পাবেন শ্রী শ্রী সারদাকে মাকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পূণ্যার্থীরা বিশেষ পুজোপাঠে যেমন অংশ নিচ্ছেন তেমনি মায়ের বাড়ি, মাতৃ মন্দির ঘুরে দেখছেন। ভক্তি ভরে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন শ্রী শ্রী সারদামাকে।