উমার বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত জল স্পর্শ করেন না কেউ, গোস্বামী বাড়ির পুজোয় ঢাকের বোলে বিষাদের সুর

স্বপ্নাদেশে শান্তিপুরের সংলগ্ন দিগনগরের একটি পুকুরের মাটি কেটে উদ্ধার হয় ইস্ট দেবতা। সেই থেকে আজও অত্যন্ত নিষ্ঠা ঘরে প্রতিদিন ৩৩ রকমের ভোগ সহকারে কাত্তায়নী দেবী পুজিতাহ

উমার বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত জল স্পর্শ করেন না কেউ, গোস্বামী বাড়ির পুজোয়  ঢাকের বোলে বিষাদের সুর

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বৃন্দাবনে গোপীরা কাত্তাায়ণী ব্রত করে ফিরে পেয়েছিলেন গোবিন্দকে। তাই দেখে প্রায় ৩৫০ বছর আগে শান্তিপুর বড় গোস্বামী বাড়ির চুরি যাওয়া ইষ্ট দেবতা রাধারমনের মূর্তি  ফিরে পেতে শান্তিপুরের বহু প্রাচীন অন্যতম প্রধান বড় গোস্বামী বাড়ির সদস্যরা শরণাপন্ন হয়েছিলেন কার্তায়নী মায়ের কাছে পুজোর মাধ্যমে। 

স্বপ্নাদেশে শান্তিপুরের সংলগ্ন দিগনগরের একটি পুকুরের মাটি কেটে উদ্ধার হয় ইস্ট দেবতা। সেই থেকে আজও অত্যন্ত নিষ্ঠা ঘরে প্রতিদিন ৩৩ রকমের ভোগ সহকারে কাত্তায়নী দেবী পুজিতা হন শান্তিপুর বড় গোস্বামী বাড়িতে। প্রতিমার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে দুই হাত বড় থাকলেও বাকি আট হাত স্বাভাবিক। তবে বৈষ্ণব মতে পুজো হওয়ার কারণে কোনো, হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে না মায়ের মূর্তিতে। অস্ত্র থাকেনা কোন হাতেই। সিংহ নয় সিংহী অসুর বধ করে থাকেন।

 মায়ের বিসর্জন হলে তবেই বাড়ির প্রত্যেক সদস্য জলস্পর্শ করেন, আর সেই কারণেই সকাল দশ টার মধ্যে বিসর্জন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিসর্জন ঘাটে প্রত্যককে, মিষ্টিমুখ করানো হয়। সমগ্র শান্তিপুরবাসী এই বিসর্জন দেখতে উপস্থিত হন তিন নম্বর রেলগেট সংলগ্ন বানকে যা বহু পূর্বে গঙ্গারই অংশ ছিলো।

এদিকে ওঁ গচ্ছ গচ্ছ পরং স্থানং স্বস্থানং দেবি চন্ডিকে... পুনরাগমনায় চ... দশমী পুজো শেষে দর্পণ বিসর্জন শুরু জলপাইগুড়ির অন্যতম বনেদী বাড়ি নিয়োগী বাড়ির পুজোর। ২১৪ বছরের এই পুজোতে আজও মহিলারাই দায়িত্ব সহকারে  সব কাজ করছেন। পুজোকে ঘিরে প্রকাশিত হয় 'জ্যোতি' শারদ গ্রন্থ। পরিবারের সকলেই পুজোর সময় বাড়িতে আসেন। রীতি মেনে আজও পুজো হচ্ছে নিয়োগী বাড়ির। এদিন পাতকাটা অগ্রণী সঙ্ঘের পুজোতেও সকালেই দশমী পুজো শেষে দর্পণ বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে সিঁদুর দান পর্ব ও সিঁদুর খেলা।