জঙ্গলমহলে রহস্যজনক গুহা ঘিরে হৈহৈ কাণ্ড!

প্রায় ১০০ থেকে ১৩০ ফুট গভীর এই গুহা। গুহার ভিতরে ঢুকলে দেখা মিলবে একাধিক কুঠুরির।

জঙ্গলমহলে রহস্যজনক গুহা ঘিরে হৈহৈ কাণ্ড!

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: জঙ্গলমহলে রহস্যজনক গুহা! আদিম মানুষেরাই কি থাকত? বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের হদিশ মিলল এক বিশেষ গুহার। বাঁকুড়ার পোড় পাহাড়ে এই গুহার সন্ধান মিলেছে। বাঁকুড়ার পোড় পাহাড়ে উঠলেই সেই পাহাড়ের মাঝে দেখা মিলবে এই বিশাল গুহাটির। 

সূত্রের খবর, প্রায় ১০০ থেকে ১৩০ ফুট গভীর এই গুহা। গুহার ভিতরে ঢুকলে দেখা মিলবে একাধিক কুঠুরির। সাধারণ মানুষের দাবি, একসময় এখানে আদিম মানুষেরা বসবাস করত। 
সোমবার বাঁকুড়ার পোড় পাহাড়ের মাঝের এই গুহার সন্ধান মিলেছে। এটি বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের মধ্যে পড়ছে। এর আগেও এই জেলায় গুহার সন্ধান মিলেছে। কখনও গন্ধেশ্বরী নদীর নিকটস্থ অঞ্চলে, কখনও মোশক পাহাড়ে। কোথাও আবার গুহার আকারে যা মিলেছে তাকে পরে মনে হয়েছে কোনও নিকাশি নালার ভগ্নদশা। তবে পোড় পাহাড়ের এই গুহা নিয়ে মাথা ঘামাতেই হচ্ছে প্রত্নবিদ ও ইতিহাসবিদদের। 

কেননা, এই গুহাটির ধরন-ধারণ একেবারেই নালার মতো নয়, এবং এর মধ্যে কুঠুরি মিলেছে। অতএব, কেউ নিশ্চয়ই থাকত এই গুহায়। কিন্তু কারা থাকত এই গুহায়? স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই গুহায় আদিম মানুষেরাই বসবাস থাকত। স্থানীয় ইতিহাস নিয়ে আগ্রহী এবং নিজেও চর্চা করেন এমন এক স্থানীয় ব্যক্তি জানিয়েছেন, এই গুহা প্রাচীন যুগের এবং এখানে আদিম মানুষেরাই থাকত। এই ধরনের গুহাগুলির মুখ সাধারণত উত্তর বা পশ্চিম দিকে হয়। যাতে ঝড়-ঝাপটার হাত থেকে রেহাই মেলে। এই গুহাটিরও তাই। আর গুহাগুলি সবই পাহাড়ের একেবারে মাঝে অবস্থিত হয়।

পোড় পাহাড়ে সদ্য সন্ধানপ্রাপ্ত গুহাটির অবস্থানও তাই।তবে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত করা যাচ্ছে না। এখন গবেষণা চলবে, অনুসন্ধান চলবে, চলবে তথ্যসংগ্রহ। অপেক্ষা করতে হবে আসল ঘটনা জানার জন্য।