'নির্বাচনের আগে শিক কাবাব', মদনের মন্তব্যে বিতর্ক

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাসক-বিরোধী প্রত্যেকেই বাড়াচ্ছে আক্রমণের ঝাঁজ। যত দিন যাচ্ছে ততই লম্বা হচ্ছে সেই তালিকা।

'নির্বাচনের আগে শিক কাবাব', মদনের মন্তব্যে বিতর্ক

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে রাস্তায় নেমে পড়েছে। সেখানে বিরোধীরা শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে প্রচার করছে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন শিক কাবাব তৈরি করবে দলের ছেলেরা এবং কাবাব আর শিক দুটোই কাজে লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। আর তাতেই বিতর্ক চরমে উঠেছে।

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাসক-বিরোধী প্রত্যেকেই বাড়াচ্ছে আক্রমণের ঝাঁজ। যত দিন যাচ্ছে ততই লম্বা হচ্ছে সেই তালিকা। ফের নাম জুড়লেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। আরও একবার স্বমেজাজে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। কামারহাটির খাদ্য উৎসবে বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা। খাদ্য উৎসব বলে কথা। সেখানে গিয়ে খাবার চেখে দেখবেন না তা কী হতে পারে? শিক কাবাব হাতে নিয়ে মদন মিত্র বলেন, “শিক কাবাব তৈরি করা শিখে রাখছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিক আর কাবাব দু’টোই কাজে লাগবে। ভোটের দিন ছেলেমেয়েরা সারাদিন খালি কাজ করবে? কাবাবটা খাবে। শিকটা খুব কাজে লাগবে। কাঁচা মাংস ঝলসানো হবে। মাখন, ঘি, মধু পড়বে। দেওয়ার আগে লেবু টিপে বিটনুন আর লঙ্কা দিয়ে তৈরি হবে কাবার।”

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য উস্কানিমূলক বলে মনে করছে বিরোধীরা। অনেকে আশঙ্কা করছেন তাহলে বোধহয় শিক দিয়ে পিটিয়ে কাবাব বানানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কারণ মদন মিত্র দাবি করেছেন, এক–দু’ ঘণ্টার মধ্যে ভোট শেষ হয়ে যাবে। ওদের গোলকিপার নেই। তাই ৬–৭ গোল এমনিই হয়ে যাবে। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, বিরোধীরা পঞ্চায়েতের আগে শক্তিশালী হবে কি না সেটা বলার জন্য হাত গুনতে হবে। কিন্তু এটুকু বলতে পারি, ৭০ শতাংশ আসনে মনোনয়ন ও এজেন্ট দিতে পারবে না বিরোধীরা। এমন ধাক্কা পাবে যে ২৫ বছর তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও দলের পতাকা এই রাজ্যে দেখা যাবে না। 

জানা গিয়েছে, এই প্রথমবার নয়। আগেও বহুবার একেবারে নিজস্ব স্টাইলে বিরোধীদের হুঙ্কার দিয়েছেন মদন মিত্র। তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে সর্বত্র চলছে জোর আলোচনা। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের সমালোচনা করতে গিয়ে বগটুই কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলেছেন। প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করে মদন মিত্র হিংসার পরিস্থিতি তৈরি করছেন বলেই দাবি তাঁর। কংগ্রেস এবং সিপিএমের তরফে মদন মিত্রের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছেন।