প্রসেনজিতের পুরনো ছবি চাইছে দর্শক: প্রসেনজিতের (Prosenjit Chatterjee) পুরনো ছবির মতো ছবি চাইছে দর্শক। সেই রাগ অভিমান দুঃখ কষ্ট ভরা ছবি। আর সেই ছবিই কি ফিরিয়ে আনলেন রাজ চক্রবর্তী (Raj chakroborty)? তাঁর ‘সন্তান’ (Santan) এর মধ্য দিয়ে। বলা হচ্ছে, তাঁর ‘সন্তান’ ছবির কথা। পরিচালক(Director) রাজ চক্রবর্তীর এই ছবিটি নিয়ে বেশ খুশি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এমনটাই জানালেন তিনি।
রাজকে জড়িয়ে ধরলেন প্রসেনজিৎ
প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের অফিসে একসঙ্গে দেখা গেল প্রসেনজিৎ আর রাজকে। রাজকে দেখে প্রসেনজিৎ দাঁড়িয়ে উঠলেন। বললেন, ” আমি বোম্বেতে ছিলাম। ট্রেলার রিলিজ হল যেদিন, সেদিনই দেখেছি। একদম আমাদের পুরনো ছবির মতো”। পরিচালককে জড়িয়ে ধরলেন টলিউডের এই সুপারস্টার। ‘সন্তান’ সিনেমার জন্য অনেক শুভেচ্ছা জানালেন।
বক্স অফিসে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
এতদিন রাজকে দেখা গিয়েছিল ক্রাইম, অ্যাকশন, রোমান্স নিয়ে সিনেমা করতে। এই প্রথম তিনি দর্শকের দরবারে আনছেন ফ্যামিলি ড্রামা। বড়দিনে বক্স অফিসে চলবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আগামী ২০ ডিসেম্বর ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। আর সেই দিনই একই সাথে মুক্তি পাচ্ছে ‘খাদান’, ‘চালচিত্র’ আর ‘৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’। অপরদিকে আবার হইচই প্ল্যাটফর্মে রয়েছে ‘ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর’ নিয়ে ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’ । একদিকে যখন ‘পুষ্পা ২’ এর ঝোড়ো ইনিংস জারি। তখন অপরদিকে ওই দিনই রিলিজ করবে বলিউডের ‘বনবাস’। এই লড়াইয়ে জিতবে কে? শুধু সেটাই দেখার। যদিও এই লড়াই হবে বক্স অফিসের লড়াই।
আরও পড়ুন: Diljit Dosanjh: ভারতে আর শো করবেন না দিলজিৎ! কলকাতা থেকে ফিরে কী হল?
প্রসেনজিতের অনুরোধ
ফ্যামিলি ড্রামা নিয়েই রাজ প্রথম এই ছবি করছেন। প্রসেনজিতের কথায় “এটা তোর একটা নতুন শুরু”। এই ছবিতে তাঁর চারজন প্রিয় অভিনেতা রয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং অনুসূয়া মজুমদার। এই কথায় রাজ রসিকতা করে বলেন ‘৫ নম্বর আমি”। এই কথায় রাজকে বুকে জড়িয়ে ধরেন প্রসেনজিৎ। সবাইকে ‘সন্তান’ দেখার আহ্বান জানান। বলেন, ট্রেলার দেখেই তাঁর খুব ভালো লেগেছে । মন ভরে গিয়েছে। সবাইকে ছবিটি দেখার অনুরোধ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Katha Serial: ‘কথা’ সিরিয়ালে সাহেবের ডবল ডিউটি, অথচ পেমেন্ট পান একটাই!
প্রশংসা কুড়িয়েছে সন্তানের ট্রেলার
ইতিমধ্যেই দর্শকমহলে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে সন্তানের ট্রেলার। এক সাক্ষাৎকার পরিচালক রাজকে বলতে শোনা গিয়েছিল, বেশিরভাগ সময় দেখা গিয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা শুধু মাত্র কর্তব্য পালন করছে। কোনও মতে ফোনে অল্প কথা বলা, কিংবা মাস গেলে একটু খোরপোশ পাঠিয়ে দেওয়া। বাড়তি খেয়াল বা প্রয়োজনের কথা তারা ভাবে না। অপরদিকে শপিং থেকে শুরু করে বিলাসী জীবনযাত্রা, সবকিছুই বহাল থাকে। ‘সন্তান’ ছবিতে দেখতে পাবেন বাবা-মায়ের অসুস্থতার ক্ষেত্রে, ছেলে দায়িত্ব নিতে একেবারেই রাজি নয়। আর তাকেই উচিত শিক্ষা দিতে আইনি উদ্যোগ। গল্পটা পারফরম্যান্স নির্ভর। কিন্তু প্যানপ্যানে নয়। রাজের সন্তানের গল্প একেবারেই বাস্তব গল্প। নিখাদ বাস্তবে নির্যাস থেকে উঠে আসা। ট্রেলার দেখেই অনুমান করা গিয়েছে। এবার ছবির সাফল্যের গল্প বলবে বক্স অফিস। বাকিটা সময়ের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।