তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, পড়ুয়াদের কথা ভেবে একাধিক রাজ্যে বড় সিদ্ধান্ত

ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী এক সপ্তাহ রাজ্যে তাপপ্রবাহ বইবে

তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, পড়ুয়াদের কথা ভেবে একাধিক রাজ্যে বড় সিদ্ধান্ত

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল:  এপ্রিল মাস পড়তে না পড়তেই জুনের গরমের অনুভূতি। চলতি মাসের শুরু থেকে মাত্রা ছাড়াচ্ছে তাপমাত্রা, বইছে তাপপ্রবাহ। প্রবল দাবদাহে পুড়ছে বাংলা সহ একাধিক রাজ্য। তাপপ্রবাহে ইতিমধ্যেই তেলঙ্গানায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে একাধিক রাজ্য সরকার।

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই ওড়িশা সরকারের তরফে সমস্ত স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের তরফে আগামী ১৬ এপ্রিল অবধি সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দিল্লি সরকারের তরফেও তাপপ্রবাহ থেকে পড়ুয়াদের রক্ষা করতে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হল।

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই জাপান সফর থেকে রাজ্যে ফেরেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। ফিরেই তিনি রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে তাপপ্রবাহ মোকাবিলা নিয়ে বৈঠক করেন। আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন ১২ এপ্রিল থেকে আগামী ১৬ এপ্রিল অবধি রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখতে। পাশাপাশি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত অঙ্গনওয়াড়িগুলিকেও। জানা গিয়েছে, প্রথম থেকে নবম শ্রেণি অবধি সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হবে ১৬ এপ্রিল অবধি।

ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী এক সপ্তাহ রাজ্যে তাপপ্রবাহ বইবে। একাধিক জেলাতেই ইতিমধ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার করেছে। বেশ কয়েকটি জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতাও। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক নির্দেশ দিয়েছেন যে রাজ্যে যদি কারোর তাপপ্রবাহে মৃত্যু হয়, তাহলে তা নিয়ে তদন্ত করা হবে। এই তদন্তভার জেলাশাসককে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, প্রচন্ড গরম ও দাবদাহের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে দিল্লি সরকারও। ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন এই মুহূর্তে স্কুলে কোনও খোলা জায়গায় অ্যাসেম্বলি বা প্রার্থনার আয়োজন না করেন। ক্লাস চলাকালীন পড়ুয়াদের জলপানের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু দিল্লিতেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার করেছে, সেই কারণে জলের যাতে কোনও অভাব না হয়, তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরাঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও স্কুলে যাতে জলের অভাব না হয়, তার জন্য বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।