অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: বাংলায় কাজ নেই! পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যায় রাজ্যকে দুষে পরিস্থিতি মোকাবিলার আরজি রাজভবনের। বাংলায় কাজ নেই। যে কারণে দলে দলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন কাজের সন্ধানে। তারা ভিন রাজ্যে গিয়েও কাজ সঠিকভাবে পাচ্ছেন। বা ঠিকমতো জীবনযাপন করতে পারছেন এমনটাও নয়।
বহু ক্ষেত্রে অনাহারে মৃত্যু কিংবা দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটেছে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের। তাই পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক এমনটাই চাইছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার রাজভবন মিডিয়া সেল তরফে টুইট করে রাজভবনের কর্মচারীদের জন্য এই তথ্য জানানো হয়।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগেই। বাংলা থেকে চেন্নাই কাজের সন্ধানে যাওয়া কিছু শ্রমিক অনাহারে থাকার ঘটনা রাজ্যপালের কানে পৌঁছয়। সেই সময় রাজ্যপাল দিল্লিতে ছিলেন। কলকাতা ফেরার কথা থাকলেও সেই সফর বাতিল করে ১৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি থেকে চেন্নাই ছুটে যান। সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের খাওয়া থাকা এবং চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/local-show-agitation-on-school-student-dead-in-accident-at-banshdroni/
কিন্তু, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই খবর পাওয়ার পরই আজ রাজভবনের কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে এই তথ্য টুইট করে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলা থেকে কাজের সন্ধানে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “বাংলার মানুষের দুঃখজনক দুর্দশা। তাদের নিজ রাজ্যে কোনও কাজ নেই। তারা অন্য কোথাও কাজ খুঁজতে বাধ্য হয়। যোগ্য কর্তৃপক্ষ তাদের অনাথের মতো ছেড়ে দেয়। নির্দিষ্ট রিপোর্ট উল্লেখ করে টুইটে এটাও দাবি করা হয়েছে যে, পরিযায়ী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় উৎস হল বাংলা।
১ অক্টোবর, ২০২৪ পর্যন্ত ই-শ্রম পোর্টালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের মোট সংখ্যা হল ২,৬৩,৭২,৯১১ জন। কেন বাংলা ত্যাগ? এটাই এখন মূল প্রশ্ন। অন্যান্য রাজ্যগুলি ভাবছে – বাংলার কী হয়েছে? বাংলা থেকে খাদ্য ও জীবিকার অভাবে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্যে আসছেন।
এই শ্রমিকরা তাদের স্থানীয় রাজ্যের বাইরে কাজ করার সময় চরম কষ্ট এবং শোষণের সম্মুখীন হয়। এবং ঘরে ফিরে যাওয়ার পরে অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়। গ্রামে গ্রামে, একমাত্র উপার্জনক্ষম পুরুষ সদস্য বছরের পর বছর বাড়ির বাইরে থাকাও সামাজিক সমস্যার জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/mass-causalities-incident-in-thailand/
বাড়িতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা অমীমাংসিত থেকে যায় বা বাড়ি থেকে উপার্জনকারী পুরুষের অনুপস্থিতির কারণে বাড়তে থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মনুষ্যসৃষ্ট পরিস্থিতি এই ধরনের পরিবারগুলির জন্য উচ্চ মাত্রার দুর্ভোগ ও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”