কাজ চলছিল জোরকদমে, হঠাৎই ভেঙে পড়ল দেওয়াল! আতঙ্ক কোর্ট চত্বরে

হঠাৎই চন্দননগর কোর্টের পূর্ব দিকের বারান্দার ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ল। কোর্টে সে সময় উপস্থিত যারা ছিলেন তাদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে।

কাজ চলছিল জোরকদমে, হঠাৎই ভেঙে পড়ল দেওয়াল! আতঙ্ক কোর্ট চত্বরে

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন। কোর্ট চত্বরে চরম ব্যস্ততার পরিবেশ। তারই মধ্যে ঘটে গেল অঘটন। সোমবার চন্দননগর কোর্টের বারান্দার ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ল। যদিও বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বরাত জোরে রক্ষা পেয়েছেন আদালতে আসা লোকজন। 

ঘড়িতে তখন সকাল ১০'টা। কোর্টের কাজকর্ম শুরু হয়নি। লোকজন সবে আসতে শুরু করেছে। আইনজীবীরাও এসেছেন কয়েকজন। হঠাৎই চন্দননগর কোর্টের পূর্ব দিকের বারান্দার ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ল। কোর্টে সে সময় উপস্থিত যারা ছিলেন তাদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। প্রথমে ইটের টুকরো ছিটকে একজনের গায়ে লাগে। পরে ওই জায়গা দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। চন্দননগর কোর্টের সিভিল বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক দে বলেন, ''খুব খারাপ অবস্থায় আছে কোর্ট বিল্ডিং। যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। আজ বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি আমরা। এর আগেও এমন হয়েছে। নতুন বিল্ডিং তৈরির জন্য টাকা এসে ফিরে গিয়েছে। আপাতত কোর্টের এই অংশ বন্ধ রাখা হোক।'' 

চন্দননগর স্ট্যান্ড রানী ঘাটের পশ্চিম দিকে ফরাসী যুগের এই বিল্ডিং এ চলে চন্দননগর কোর্ট।
 সিভিল বারের সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''প্রায় দেড়শ বছরের পুরোনো বিল্ডিং। আমি যখন আসছি তখনই দেখলাম ভেঙে পড়ল। ভাগ্য ভালো কোর্ট চলাকালীন এই ঘটনা ঘটেনি। আমরা এর আগে লিখিত ভাবে জেলা জজকে এবং হাইকোর্টের জোনাল জজকে জানিয়েছিলাম কোর্ট বিল্ডিং এর অবস্থা। আমরা চাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা আসুন। পূর্ত দফতরের জেলা ইঞ্জিনিয়াররা আসুক এসে দেখে যাক। ঘটনা সত্যি কিনা সেটা দেখুন আমরা চাই। এর আগে যে ভাবে সংস্কার হয়েছে তাতে ছাদের উপর ভার বেশি হয়ে গেছে। পিলারে ফাটল ধরেছে। ঢালাই ছাদের তলার অংশ ভেঙে পড়ছে। হয় এই বিল্ডিং পুরোপুরি সংস্কার করা হোক না হলে বিপদজ্জনক ঘোষনা করে নতুন বিল্ডিং তৈরী করে কোর্ট চলুক। এই বিল্ডিংয়ে আইনজীবী মুহুরি বিচার প্রার্থীদের কাছে বিপদজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনও সময় মাথায় ছাদ ভেঙে পড়তে পারে।''