'পৃথক রাজ্য শুধু সময়ের অপেক্ষা'! অনন্ত মহারাজের দাবিতে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে

পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবি নিয়ে আরও সক্রিয় গ্রেটার কোচবিহার নেতা অনন্ত মহারাজ।

'পৃথক রাজ্য শুধু সময়ের অপেক্ষা'! অনন্ত মহারাজের দাবিতে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবি নিয়ে আরও সক্রিয় গ্রেটার কোচবিহার নেতা অনন্ত মহারাজ। রবিবার শিলিগুড়ির সেবক রোডের এক বেসরকারি হোটেলে বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলের সঙ্গে বৈঠক করেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন প্রধান অনন্ত মহারাজ। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক। 

জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধে সাড়ে পাঁচ'টা নাগাদ হোটেলে আসেন অনন্ত মহারাজ। এরপর প্রায় ৬'টার পর হোটেলে উপস্থিত হন নিশীথ প্রামানিক। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে বৈঠক চলে বনসল, নিশীথ ও অনন্তের মধ্যে। প্রথমে বেরিয়ে আসেন অনন্ত মহারাজ। 
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে ইউনিয়ন টেরিটরিও ছিল। তবে এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। যা হবে ফিল্ডে দেখবেন। যে যাই বলুক, যা হবে তা ভালোই হবে।" 

ইউনিয়ন টেরিটরি বা আলাদা রাজ্য নিয়ে কেন্দ্র কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। দাবি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। এনিয়ে অনন্ত মহারাজ বলেন, "আমি বলিনি সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা হবে দেখবেন। আবার বলছি সব বিষয়েই আলোচনা করেছি। আমি যা বলেছি সেটাই ফাইনাল।"

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক বলেন, "বনসলজি প্রথমবার উত্তরবঙ্গ বা শিলিগুড়িতে এসেছেন৷ ওঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আমি এসেছি। অনন্ত মহারাজ এসেছেন। তবে উনি কী বলেছেন তা ওনার কাছ থেকেই জানুন।"  বৈঠক শেষে নিশীথ প্রামানিকের সঙ্গেই বেরিয়ে যেতে দেখা যায় সুনীল বনসলকে। তবে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে তিনি একেবারে চুপ। 

উল্লেখ্য, গতকালই আলিপুরদুয়ারে পৃথক কোচবিহার রাজ্যের ব্যাপারে সরব হন অনন্ত মহারাজ। তাঁর দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগেই এনিয়ে পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র। পঞ্চায়ত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবিতে সরব হচ্ছে এক একটি সংগঠন। একসময় এই দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ। কিন্তু পরবর্তীতে মানুষের আবেগের কথা মাথায় রেখে তারা কিছুটা পিছু হঠেছিলেন। তবে এদিন অনন্ত মহারাজের কথায় স্পষ্ট, পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবি থেকে তারা সরে আসছেন না।

এদিন অনন্ত মহারাজ বলেন, ''পৃথক কোচবিহারের দাবি নিয়ে তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুব শীঘ্রই তাঁকে ডাকবেন বলে জানিয়েছেন। আশা করছি, লোকসভা নির্বাচনের আগেই কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যে বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে। কেন্দ্রে যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে তাকেই আমরা সমর্থন করব।''