Vande Bharat News: মোদির হাত ধরে যাত্রা শুরু, হাওড়া-পুরী রুটে ছুটবে স্বপ্নের বন্দে ভারত

নতুন এই ট্রেন চালু হওয়ায় এবার থেকে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। যেখানে বর্তমানে শতাব্দী এক্সপ্রেস সময় নেয় ৭ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।

Vande Bharat News: মোদির হাত ধরে যাত্রা শুরু, হাওড়া-পুরী রুটে ছুটবে স্বপ্নের বন্দে ভারত
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (ফাইল ছবি)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে চাকা গড়াল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালিই এই সেমি হাই স্পিড ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার বেলা ১ টা নাগাদ মোদির হাত ধরে যাত্রা শুরু হল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। ওড়িশা পেল তাদের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে এই নিয়ে দ্বিতীয় বন্দে ভারত চালু হল। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিন হাওড়া থেকে পুরীর মধ্যে ছুটবে ভারতীয় রেলের উচ্চগতির এই ট্রেন। এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণব জানান, আজ ওড়িশার পবিত্র ভূমিতে সেমি হাই স্পিড বন্দে ভারত ট্রেন যাত্রার শুভ সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরও জানান, জগন্নাথ ভূমে বন্দে ভারত চালু হলে তীর্থযাত্রীদের যেমন সুবিধা হবে তেমনই আরও উন্নতমানের রেল স্টেশনের তকমা পাবে ওড়িশা রাজ্য।    

 ঘড়ির কাঁটায় সময় ছিল দুপুর ১টা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি ফ্ল্যাগ অফ করেন ওড়িশার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। পুরী স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও। ভার্চুয়ালি ওড়িশায় প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন যাত্রার শুভ সূচণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভার্চুয়াল উদ্বোধনের পাশাপাশি তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গবাসী ও ওড়িশার মধ্যে ট্রেন সফর আরও মনোরম, আরামদায়ক করতে চালু করা হল বন্দে ভারত। এই সেমি হাই স্পিড বন্দে ভারত ট্রেন চালু হওয়ায় দুই রাজ্যের মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থা ও যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।   

জানা গিয়েছে, নতুন এই ট্রেন চালু হওয়ায় এবার থেকে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। যেখানে বর্তমানে শতাব্দী এক্সপ্রেস সময় নেয় ৭ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। হাওড়া-পুরীর মধ্যে ১ ঘণ্টা কম সময়েই পৌঁছে যাবে এই ট্রেন। এই ট্রেনে রয়েছে ১৬টি কামরা। ১৪টি এসি চেয়ারকার ও ২টি এক্সিকিউটিভ চেয়ারকার। খুরদা রোড জংশন, ভুবনেশ্বর, কটক, জাজপুর কেওনঝড় রোড, ভদ্রক, বালাসোর এবং খড়্গপুরে দাঁড়াবে ট্রেনটি। আজ উদ্বোধনের পর ২০ মে থেকেই সর্ব সাধারণের জন্য এই ট্রেনের পরিষেবা চালু হবে। ইতিমধ্যেই ১৭ তারিখ থেকে ট্রেনের টিকিট বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে।