জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে মূক-বধির তরুণীর সঙ্গে কুকর্ম, পুলিশের জালে প্রতিবেশী

রাজ্যে ফের নারী নির্যাতনের অভিযোগ। মূক বধির তরুণীকে ভুল বুঝিয়ে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন...

জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে মূক-বধির তরুণীর সঙ্গে কুকর্ম, পুলিশের জালে প্রতিবেশী
আদালতে তোলা হচ্ছে অভিযুক্তদের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রাজ্যে ফের নারী নির্যাতনের অভিযোগ। মূক বধির তরুণীকে ভুল বুঝিয়ে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তরুণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে, দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার এবিএল এলাকায়। জঙ্গলে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ দুই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ধর্ষণের মামলা রুজু করে প্রবীর পাল, মনোজ মল্লিক নামের দুই-প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের আজ তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। 

রবিবার দুপুরে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার সগড়ভাঙা গ্রামের এক মূক ও বধির তরুণী অন্যান্য দিনের মতো সগড়ভাঙা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজে গিয়েছিলেন। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় দুই প্রতিবেশী যুবক জোর করে সাইকেলে চাপিয়ে তাঁদের মেয়েকে নিউ টাউনশিপ থানার এবিএল জঙ্গলে নিয়ে যায়। মেয়ে অনেকক্ষণ বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হলে তরুণীকে ঐ জঙ্গলের মধ্যে পাওয়া যায়।

 অভিযোগ, সেখানেই তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন প্রবীর পালকে হাতেনাতে ধরে ফেললেও ততক্ষণে পালিয়ে যায় মনোজ মল্লিক নামের আরও এক প্রতিবেশী। দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানায় দুই প্রতিবেশী যুবক মনোজ মল্লিক ও প্রবীর পালের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানায় ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়। পুলিশ ওই নির্যাতিতা যুবতীকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই প্রতিবেশী প্রবীর পাল ও মনোজ মল্লিককে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর মহাকুমা আদালতে পেশ করা হয়। 

দুর্গাপুর মহাকুমা হাসপাতালে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট সুরপা ভট্টাচার্য জানান, বর্তমানে ওই যুবতী চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশের অনুমতি পেলেই শুরু হবে শারীরিক পরীক্ষা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিপিআইএমের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, শুধু মূক-বধির যুবতীই নয় এর আগেও ওই জঙ্গলেই নির্যাতনের শিকার হয়েছে বেশ কয়েকজন যুবতী ও মহিলা। পুলিশের নিরাপত্তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর লাহা বলেন, ''রাজ্যে আইন ব্যবস্থা আছে বলেই অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে। এই ঘটনার পরেও অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়েছে।''