NewBorn Trafficking: ফিল্মি কায়দায় সদ্যোজাত হাতবদল, পুলিশি অভিযানে ফাঁস আন্তর্জাতিক দালাল চক্র

নদীয়া থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশু চুরির মূল পান্ডা আয়া ও তার দুই সাগরেদ অরূপ সরকার ও মণিরুল মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আরও পড়ুন...

NewBorn Trafficking: ফিল্মি কায়দায় সদ্যোজাত হাতবদল, পুলিশি অভিযানে ফাঁস আন্তর্জাতিক দালাল চক্র
সদ্যোজাত বিক্রির অভিযোগে ধৃত (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল:  এ যেন সিনেমার থ্রিলারকেও হার মানাবে। বেসরকারি নার্সিংহোমে জন্ম হওয়া সদ্যোজাত শিশুপুত্র বাড়িতে ফেরার তিনদিন পর নিখোঁজ। বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার যদুরহাটী দক্ষিণ গ্রাম পঞ্চায়েতের আগাপুর গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামের বাসিন্দা এক গৃহবধূ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বেঁড়াচাপার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। জানা গিয়েছে, গত ১৪ দিন আগে সেখানে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর সদ্যোজাতকে দেখভাল করতে আসে ওই নার্সিংহোমেরই আয়া পারভিনা, ওরফে টুম্পা খাতুন। তারপর ওই শিশুর মা-বাবা আয়াকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতেই শিশুটির দেখভাল শুরু করে ওই আয়া।

অভিযোগ, ঐ আয়া পরিবারের লোকের অজান্তে সদ্যোজাত শিশুকে চুরি করে নিয়ে চলে যায় নদীয়ার তেহট্ট এলাকায়। এরপর ওই শিশুর বাবা-মা বাদুড়িয়া থানায় আয়ার বিরুদ্ধে শিশু চুরির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে , বাদুড়িয়ার এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্রর নির্দেশে ও বাদুড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সিদ্ধান্ত মন্ডলের নেতৃত্বে একটি পুলিশের টিম তৈরি হয়য়। সেখান থেকে অপারেশন শুরু করে। প্রথমে ওই আয়ার ফোন নাম্বার ট্র্যাক করা হয়।

জানা যায়, তার অবস্থান নদীয়াতে। সেখানে গিয়ে নদীয়া থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশু চুরির মূল পান্ডা আয়া আর তার দুই সাগরেদ অর্থাৎ অরূপ সরকার ও মণিরুল মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জেরায় তারা স্বীকার করে ওই শিশু পুত্রকে তারা চুরি করে মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার ফন্দি এঁটেছিল। ধৃত ৩ শিশু পাচারকারীকে রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাদেরকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। ধৃত ঐ আয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক শিশু পাচার চক্রের যোগসূত্র আছে কিনা তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।