মগরাহাটে ভোট পরবর্তী হিংসার বলি, শ্যুটআউটে খুন TMC নেতা

শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন মৈমুর ঘরামি নামে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ওই জয়ী প্রার্থী। অভিযোগ, বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে রাতের অন্ধকারে তাঁকে ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী।

মগরাহাটে ভোট পরবর্তী হিংসার বলি, শ্যুটআউটে খুন TMC নেতা
কান্নায় ভেঙে পড়েছে নিহতের পরিবার (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ভোট মিটলেও থামছে না হিংসা। এবার তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানার মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জুনপুর। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম মৈমুর ঘরামি। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাজাহান মোল্লা নামে আরও এক ব্যক্তি। রাজনৈতিক কারণ, নাকি অন্য কোনও আক্রোশ থেকে খুন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৪।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন মৈমুর ঘরামি নামে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ওই জয়ী প্রার্থী। অভিযোগ, বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে রাতের অন্ধকারে তাঁকে ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। এরপর গুলি করা হয় তাঁকে। পাশাপাশি এলোপাথাড়ি কোপানোও হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এদিকে বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান শাজাহান মোল্লা নামে এক প্রতিবেশী। তাঁকেও গুলি করে দুষ্কৃতীরা। এরপরেই এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় মৈমুর ঘরামি ও শাজাহান মোল্লাকে উদ্ধার করে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছন এসডিপিও মিতুন দে। 

তিনি জানান, 'মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জুনপুরে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী ছিলেন মৈমুর ঘরামি। এলাকায় বেশ কিছু দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তাঁর মত পার্থক্য হওয়ায় তারা হামলা চালিয়েছে বলেই তদন্তে উঠে এসেছে।' গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।' অন্যদিকে, মগরাহাটে শুট আউটে ঢুকে পড়লো রাজনীতি। উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, মৃতের পরিবারে হাহাকার। 

মগরাহাট শ্যুট আউটের ঘটনায় সিপিআইএম দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ মৃতের পরিবার সহ আত্মীয়দের। উল্লেখ্য  মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের অর্জুনপুর এলাকায় তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী  মৈমুর ঘরামি দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের  আঘাতে মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযান অনুযায়ী উঠে আসছে নানা অজানা তথ্য। দুষ্কৃতীদের আক্রমণের মৃতের সঙ্গে তার ভাই ও ছিল তবে তার উপরে আক্রমণ হয়নি। সে নিরাপদে বাড়ি ফেরে। তবে আহত হয় আরও দুই সঙ্গী।

প্রসঙ্গত, গোটা পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বেই রাজ্যজুড়ে চলেছে হিংসা, রক্তক্ষয়। একের পর এক জায়গা থেকে এসেছে সংঘর্ষের খবর। মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজনের। রাজ্যের যে সমস্ত জায়গা থেকে হিংসা ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ ২৪ পরগনা। গোটা নির্বাচন পর্বেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে জড়িয়েছেন রাজনৈতিক কর্মীরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ঘটেছে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা। পালটা লাগাতার ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ।