পাকিস্তানকে সামরিক বিমান বিক্রি! আমেরিকাকে তুলোধনা জয়শঙ্করের

ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানকে সামরিক খাতে সাহায্য করা বন্ধ করে দিয়েছিল আমেরিকা। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ওয়াশিংটন।

পাকিস্তানকে সামরিক বিমান বিক্রি! আমেরিকাকে তুলোধনা জয়শঙ্করের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ক'দিন আগেই পাকিস্তানের জন্য বিশেষ সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে আমেরিকা। পাক বায়ুসেনার মার্কিন এফ-১৬ জেটগুলির আধুনিকীকরণের জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে দাবি ওয়াশিংটনের। এতে নাকি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই আরও জোরাল হবে! কিন্তু এর ফলে চরম ক্ষুব্ধ ভারত।

জানা গিয়েছে, শত্রুর হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ায় আমেরিকাকে একহাত নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। মোদি সরকারের 'ইন্ডিয়া ফার্স্ট' নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রবিবার ওয়াশিংটনের এক অনুষ্ঠানে আমেরিকার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাঁর কথায়, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে আমেরিকার কোনও উদ্দেশ্যপূরণ হচ্ছে না। 

অত্যন্ত কড়া ভাষায় বিদেশমন্ত্রী বলেন, ''পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমেরিকার কোনও লাভ হচ্ছে না। আমার মনে হয়, বিষয়টি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেবে দেখার সময় হয়েছে। আপনারা বলছেন, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ব্যবহার করবে পাকিস্তান। আপনারা কাকে নির্বোধ কাকে ভাবছেন! সবাই জানে এই বিমান কার বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে। কোনও মার্কিন নীতিনির্ধারকের সঙ্গে কথা হলে আমি বলব, ভেবে দেখুন আপনারা কী করছেন।'' 

রবিবার ওয়াশিংটনের অনুষ্ঠানে সরাসরি পাকিস্তানকে F-16 বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ সাহায্যের প্রসঙ্গ তোলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি বলেন, ''এটা সবাই জানে, কোথায় এবং কাদের বিরুদ্ধে F-16 ব্যবহার করে পাকিস্তান। আপনি এসব বলে কাউকে বোকা বানাতে পারবেন না।''

 প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানকে সামরিক খাতে সাহায্য করা বন্ধ করে দিয়েছিল আমেরিকা। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ওয়াশিংটন। আমেরিকার যুক্তি, আফগানিস্তান যাতে জঙ্গিদের স্বর্গ রাজ্য না হয়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতেই অর্থ সাহায্য করা হচ্ছে ইসলামাবাদকে। পাকিস্তান যে সেই টাকা সন্ত্রাসবাদে মদতের জন্যেই ব্যবহার করছে, তা ঘুরিয়ে আমেরিকাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।