Burdwan News: কৃত্রিম হাত পাচ্ছেন কেতুগ্রামের রেণু

কেতুগ্রামের রেণু খাতুনের জন্য রয়েছে সুখবর। তাঁর জন্য কৃত্রিম হাত তৈরি করে দিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ।

Burdwan News: কৃত্রিম হাত পাচ্ছেন কেতুগ্রামের রেণু

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল:নার্সের চাকরি পাওয়ায় হাতের কবজি কেটে নিয়েছিল স্বামী। তবুও থেমে থাকেননি বর্ধমানের কেতুগ্রামের রেণু খাতুন। হাসপাতালের বেড থেকে যে লড়াইটা তিনি শুরু করেছিলেন তা আজও জারি রয়েছে। ইতিমধ্যে বাপের বাড়ি ফিরে গিয়ে নিজের নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন রেণু।

কেতুগ্রামের রেণু খাতুনের জন্য রয়েছে সুখবর। তাঁর জন্য কৃত্রিম হাত তৈরি করে দিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। এদিকে রেণু খাতুন কাণ্ডে অভিযুক্ত ৩ জনের জামিন হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে রেণু বলেন, ''আমি আতঙ্কিত, পুলিশের তদন্তে গাফিলতি থাকতে পারে, তার জন্যই হয়তো জামিন পেয়ে গিয়েছে অভিযুক্তরা। জামিন হওয়ায় আমি খুব বিস্মৃত। আশঙ্কা করছি আমার উপর ফের হামলা হতে পারে।''

এদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কৃত্রিম হাত লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের গৃহবধু রেণু খাতুনের ডান হাত কব্জি থেকে বাদ দেওয়ার পর তাঁর জন্য কৃত্রিম হাতের উদ্যোগ নেয় বর্ধমান মেডিক্যাল  কলেজ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি। সমিতির চেয়ারম্যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথে উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

জানা গিয়েছে, এরপরই তাঁর কৃত্রিম হাতের জন্য সমস্ত ব্যয় পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ বহন করবে বলে জানিয়ে দেন সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামের গৃহবধু রেণু খাতুনকে নার্সিং-এ চাকরি করতে না দিতে তাঁর ডান হাতের কব্জি কেটে দেন স্বামী শেখ সরিফুল ওরফে সিরাজ শেখ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় গোটা রাজ্য জুড়ে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রেণুকে নার্সিং-এ চাকরি দেওয়া হয়। বর্তমানে রেণু খাতুন নার্সিং কলেজে কর্মরতা।

এদিকে রোগী কল্যাণ সমিতি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের এই উদ্যোগে খুশি রেণু। তিনি বলেন, '' সকলকে আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামী দিনে আমার কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে।' '

অন্যদিকে সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, ''রেণুর লড়াইকে কুর্ণিশ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-সহ অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। রেণু আগামী দিনে যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, তারজন্যই এই উদ্যোগ।''