Tribal Strike News: আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা বনধে অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক, গড়াল না চাকা

সারনা ধর্মের পৃথক কোড এবং অ-আদিবাসীদের আদিবাসী করনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা বাংলা বন্ধে মিশ্র প্রভাব পড়ে জঙ্গলমহলে সহ বাঁকুড়া দক্ষিণ অংশে। বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে বাস চলাচল করেনি একটাও।

Tribal Strike News:  আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা বনধে অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক,  গড়াল না চাকা
আসানসোলে জাতীয় সড়ক অবরোধ (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: আদিবাসী সিঙ্গল অভিযানের ডাকা বনধে মিশ্র প্রভাব যান চলাচলে। বৃহস্পতিবার জঙ্গলমহলে কোথাও গড়াল না বাসের চাকা। আবার দেখা গেল উল্টো চিত্রও। অনেক জায়গায় খোলা ছিল দোকান বাজার সবকিছুই। বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার ডাকা বনধে জঙ্গলমহলের রাইপুর, সারেঙ্গা, সিমলাপাল রানীবাঁধ খাতড়া সহ দক্ষিণ বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাস চলাচল ব্যাহত। এদিন সকালবেলায় দুই একটি বাস চললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যায় বাস চলাচল জঙ্গলমহল জুড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাঁকুড়া গোবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ডে জঙ্গলমহলে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার পথে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। 

সারনা ধর্মের পৃথক কোড এবং অ-আদিবাসীদের আদিবাসী করনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা বাংলা বন্ধে মিশ্র প্রভাব পড়ে জঙ্গলমহলে সহ বাঁকুড়া দক্ষিণ অংশে। বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে বাস চলাচল করেনি একটাও। সারেঙ্গা এলাকায় বনধের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে ব্যাপকভাবে। অন্যদিকে, জঙ্গলমহলের খাতড়া বনধের প্রভাব নেই বললেই চলে। স্বাভাবিক রয়েছে দোকান বাজার। খোলা রয়েছে বিভিন্ন সরকারি দফতর। শুধু তাই নয়, এদিন সকালে বনধের প্রভাব দেখা যায় আসানসোল জাতীয় সড়কে। প্রায় ৩০ মিনিট অবরোধ চলার পর স্বাভাবিক হয়ে যায় যান চলাচল।  

এদিন আসানসোলের শ্রীপুর ফাঁড়ির চাঁদা মোড়ে আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের ব্যানারে অবরোধ করা হয়। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ ধরে যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে রাস্তার উপর। মোট পাঁচ দফা দাবি নিয়ে তাদের এই ভারত বনধ বলে জানিয়েছেন আদিবাসী সংগঠনের নেতা সুকান্ত হেমব্রম। তাঁর অভিযোগ, ৫ দফা দাবি নিয়ে তাদের এই আজকের ভারত বনধ। আগামী দিনে তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। এদিন প্রায় ৩০ মিনিট অবরোধ চলার পরে অবরোধ উঠে যায়। পরে যান চলাচলও স্বাভাবিক হয় জাতীয় সড়কে।