Kamduni Case: কামদুনিকাণ্ডে মুক্তি নিঃশর্ত নয়, একাধিক নির্দেশিকা চাপাল শীর্ষ আদালত

আজ থেকে দশ বছর আগে বিগত ২০১৩ সালে কামদুনিতে কলেজছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ১০ বছর পর রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিস্তারিত জানতে আরও পড়ুন...

Kamduni Case: কামদুনিকাণ্ডে মুক্তি নিঃশর্ত নয়, একাধিক নির্দেশিকা চাপাল শীর্ষ আদালত
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: কামদুনিকাণ্ডে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে মুক্তি প্রাপ্তরা রাজারহাট (Rajarhat Police Station) থানার নির্দেশ ছাড়া এলাকার বাইরে যেতে পারবে না। বাইরে যেতে হলে ওসির কাছে অনুমতি নিতে হবে। কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ফাঁসির আসামীদের ফাঁসি মুকব করে। ২ জনকে মুক্তি দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবাদী মৌসুমি কয়াল, টুম্পা কয়াল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের কাছে করা তাঁদের সেই আর্জি ধোপে টিকল না। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছে, কামদুনি কাণ্ডে ধৃতদের নিশর্ত মুক্তি নয়।

আদালতের কতগুলি শর্ত মেনে চলতে হবে তাদের। শর্তগুলি হল- 

১। অভিযুক্তরা রাজারহাট পুলিশ স্টেশন এলাকার বাইরে যাবে না। 
২। রাজারহাটের ওসির কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে তাঁদের।
৩। রেসপন্ডডেন্ট লিখিতভাবে আইটিনারি জমা দেবে- অনুমতি নেওয়ার সময়- কোথায় যাবে, কেন যাবে, সবিস্তারে জানাতে হবে।
৪। অভিযুক্তরা রাজারহাট থানায় প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় সোমবার হাজিরা দেবে।
৫। তাঁদের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে থানায়।
৬। ঠিকানা বদল করলে থানায় জানাতে হবে।
৭। যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করবে তা লিখিতভাবে জানাতে হবে থানায়

প্রসঙ্গত, আজ থেকে দশ বছর আগে বিগত ২০১৩ সালে কামদুনিতে কলেজছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ১০ বছর পর রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ মূল অভিযুক্ত আনসার আলি ও সইফুল আলির মৃত্যুদণ্ড রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিযেছে। আর ডিভিশন বেঞ্চেরই রায়ে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ মুক্তি পেতে চলেছে। এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ হয়ে ওঠা টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালদের গভীর হতাশায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। ক্ষোভ ছড়ায় কামদুনি এলাকাতেও। রাজ্য সরকারের তরফেও এই রায়ের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা জানায়। সোমবার সেইমতো স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল হয়। এদিন সেই প্রেক্ষিতেই বন্দিদের মুক্তির শর্ত জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।